Homeএখন খবর'কেউ একা কিছু করতে পারেনা, আমি আমি হল সর্বনাশের কারন' বিবেকানন্দকে...

‘কেউ একা কিছু করতে পারেনা, আমি আমি হল সর্বনাশের কারন’ বিবেকানন্দকে স্মরণ করে ফের খোঁচা শুভেন্দুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বলে ছিলেন ‘ যে অতীতকে ভুলে যায় তার ভবিষৎ অন্ধকারে ঢাকা।’ নেতাইয়ে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য আর কর্মপন্থা থেকে কেউ আমাকে টলাতে পারবেনা।’ আর এবার নিউ দিঘায় দাঁড়িয়ে স্বয়ং বিবেকানন্দের বানী উচ্চারণ করে বললেন, ‘কেউ একক শক্তিতে কোনও কাজ করতে পারে না। এটা স্বামী বিবেকানন্দ বলে গিয়েছেন। তিনি বলে গিয়েছেন, আমি আমি হল সর্বনাশের মূল। আমরা আমরা যারা করে, তারাই টিকে থাকে।’
না, কাকে উদ্দেশ্য করে এই কথা বলা মুশকিল বটে কিন্তু বুঝতে অসুবিধা হয়না গত ২০১১ সাল থেকে বঙ্গীয় রাজনীতিতে যে আমিত্বের চর্চা চলছে, যেখানে কিনা সবই চলে একজনেরই ইচ্ছায় খোঁচাটা ঠিক সেখানেই মারার উদ্দেশ্য নিয়ে মারা হয়েছে।

বুধবার নিউ দিঘায় ভগিনী নিবেদিতার ১৫৩ তম জন্মদিবস উদযাপন মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্য মন্ত্রীসভার অন্য সুরে তাল বেঁধে নেওয়া রাজ্যের পরিবেশ মন্ত্রীর গলায় যথারীতি উচ্চারিত হয়েছে তীব্র কটাক্ষের সুর যেখানে গত ৯ বছরের ‘আমি আমি’কেই তীব্র বিদ্রুপ করা হয়েছে একথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। না, কোনও অর্থেই মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কারো নাম ধরেননি কিন্তু নন্দীগ্রামে উচ্চারিত ‘অতীতকে ভুলে যাওয়ার’ সতর্কতার মতই নিউ দিঘাতে ‘আমি আমি’ ভাবনার ক্ষেত্রেও মন্ত্রী আরেক সতর্কতা উচ্চারণ করে গেলেন। একা একা যে কিছু করা যায়না বা কিছু হয়না তা বুঝিয়ে দিতে তিনি স্বামী বিবেকানন্দকে উদ্ধৃত করেই বললেন, ‘ স্বামীজী বলে গিয়েছেন, আমি আমি হল সর্বনাশের মূল। আমরা আমরা যারা করে, তারাই টিকে থাকে।’

বুধবার নিউ দিঘা ওম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ভগিনী নিবেদিতার ১৫৩ তম জন্মদিবস উদযাপনের উদ্যোক্তা মহিলা সমিতির সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের প্রশংসা করতে গিয়ে মন্ত্রী যেন সেই বাংলা প্রবাদ ‘ ঝি কে মেরে বউকে শিক্ষা’ দিয়ে গেলেন।  এটা এখন সর্বজন বিদিত যে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের ক্ষমতাসীন অংশের একটি হীম শীতল সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। একে ফাটল বলা যাবে কিনা তা এখুনি নিশ্চিত না হলেও কোনও বড়সড় উদ্যোগে এই সম্পর্কের মেরামত না হলে ফাটল যে আরও বড় হবে সে কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য সরাসরি করছেনা ঠিকই কিন্তু দুপক্ষই এই বিষয় থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই নিস্কৃতি দুভাবে হতে পারে, মিলন অথবা বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে। ২০২১য়ের আগে এর কোনটার মধ্যে সেই নিষ্কৃতি আসে সেটা দেখার। যদিও এরই মধ্যে একটি অদ্ভুদ ঘটনার মধ্যে দিয়ে স্নায়ুর লড়াই আরও তীব্র হয়েছে এবং তা হল শুভেন্দু অনুগামীদের লাগানো কিছু ফ্লেক্স সম্প্রতি ছিঁড়ে ফেলা বা খুলে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে মন্ত্রীর এই নতুন বক্তব্য ফের জল্পনার তৈরি করল রাজ্য রাজনীতিতে।

RELATED ARTICLES

Most Popular