Homeদক্ষিণবঙ্গউত্তর ২৪পরগনাবসিরহাটে শ্যুটআউট,ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি! মৃত্যুর মুখে তৃণমুল নেতা, থমথমে এলাকা

বসিরহাটে শ্যুটআউট,ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি! মৃত্যুর মুখে তৃণমুল নেতা, থমথমে এলাকা

নিউজ ডেস্ক :নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে পশ্চিম বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকেই খবর আসছে রাজনৈতিক নেতাদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা। শাসক অথবা বিরোধী কেউই পার পাচ্ছেননা এই ধরনের আক্রমন, প্রতি আক্রমনের হাত থেকে। রক্তপাত, প্রাণহানি, গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন বসিরহাটের এক তৃনমূল নেতা।

বৃহস্পতিবার সাত সকালে ওই তৃনমূল নেতার ওপর প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এলোপাথাড়ি গুলি চলায় আতঙ্কের পরিবেশ এলাকাজুড়ে। বসিরহাট মহাকুমার ন্যাজাট থানার দুই নম্বর বয়ার মারী গ্রাম পঞ্চায়েতের তালতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গেছে বৃহস্পতিবার সকাল নটা নাগাদ তৃণমুল নেতা সুন্নত আলী মোল্লা তার নিজের মাছের ভেড়িতে গিয়েছিলেন মাছ সংগ্রহের জন্য। ওই সময় ৬ থেকে ৭ জনের সশস্ত্র দুষ্কৃতীর দল তাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ। গুলিতে লুটিয়ে পড়েন সুন্নত।

গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন স্থাাানীয়রা। তাঁরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাঁর ডান পায়ে চারটে এবং বাঁ পায়ে পাঁচটে গুলি লাগে বলে জানা যায় ।পাশাপাশি তার মাথায় গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্য দিবালোকে হওয়ায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ। তদন্ত শুরু করেছে নেজাট ও মিনাখা থানার পুলিশ। আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং ভর্তি করা হয়েছে।

ওই তৃণমুল নেতার শরীরে অনেকগুলি গুলি লেগেছে,তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। আক্রান্ত পরিবারের দাবি, হাবিবুর রহমান ওরফে বাচ্চা খোকন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। তার দলবল পরিকল্পনা করে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার পিছনে রাজনৈতিকভাবে খুনের চেষ্টা, না অন্য কোও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার পিছনে মাছের ভেড়ি নিয়ে দখলদারির কোনো দ্বন্দ্ব  রয়েছে কিনা সেবিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী রয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আক্রান্ত পরিবারের দাবি, হাবিবুর রহমান ওরূপে বাচ্চা খোকন কুখ্যাত দুষ্কৃতী তাঁর দলবলেরাই পরিকল্পনা করে এই সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। এটাকি রাজনৈতিকভাবে খুনের চেষ্টা, না অন্য কোনো কারণ আছে। ততা তদন্ত করে দেখছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। এই মুহূর্তে ওই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular