নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সল্টলেকের শান্তিনগর। দুই পক্ষের ইটবৃষ্টি, হাতাহাতি। ভোট চলাকালীন এই ঘটনায় আহত উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন। মহিলাকে মাটিতে ফেলে মারধোরের অভিযোগও ওঠে এদিন। বুথের কাছে অবৈধ জমায়েত, ভোটারদের বাধা দেওয়া অভিযোগ থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয় বলে খবর।
তৃণমূলের তরফে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে তৃণমূল। ঝামেলা-অশান্তির খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগও করেন তিনি। সব্যসাচী দত্ত এলাকা ছাড়তেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালীন এক মহিলাকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত মহিলা অভিযোগ করেন, ভোট দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে।
ঘটনার পরই দ্রুত এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। এলাকার যাবতীয় অবৈধ জমায়েত সরাতে অভিযানে নামে তারা। কিছু জায়গায় লাঠি উঁচিয়েও ভিড়ের দিকে তেড়ে যান তারা বলে ভোটারদের অভিযোগ। গোটা এলাকায় টহলদারী চালাচ্ছে বাহিনী। পুলিশের আধিকারীকরা এলাকায় মাইকে প্রচারে নামেন। চিন্তামুক্ত হয়ে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হয় তাদের তরফে। পাশাপাশি ভোট দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও কারণে রাস্তায় অবৈধ জমায়েত করা হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
তবে সবকিছুর মধ্যেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠেছে, জমায়েত যখন হচ্ছিল তখন বাহিনী কোথায় ছিল? ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরেও কেন এই ভিড় জমায়েত সৃষ্টি হল এলাকায়! এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন সকলে।