Homeএখন খবরসভাধিপতি হয়েই 'সম্পর্ক' ছেদ, 'প্রাক্তন প্রেমিকে'র আত্মহত্যা, প্ররোচনার দায়ে পূর্ব...

সভাধিপতি হয়েই ‘সম্পর্ক’ ছেদ, ‘প্রাক্তন প্রেমিকে’র আত্মহত্যা, প্ররোচনার দায়ে পূর্ব বর্ধমান সভাধিপতির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ আদালতের

নিজস্ব সংবাদদাতা: মারাত্মক মামলায় ফাঁসতে চলার পথে তৃনমূল পরিচালিত পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাপরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বর্ধমানের মূখ্য দায়রা আদালত বা সিজেএম। শুক্রবার বিচারক রতন কুমার গুপ্ত এমনই নির্দেশ দিয়েছেন খণ্ডঘোষ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরে। সভাধিপতি ছাড়াও আর তিনজনের বিরুদ্ধে এই একই মামলা দায়ের করার নির্দেশ দেন আদালত।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য গত ১৩ জানুয়ারি রাতে খণ্ডঘোষ থানার দুবরাজহাটের বাসিন্দা পবিত্র কুমার ঘোষ (২৬) নিজের বাড়িতে কীটনাশক খান। পরদিন সকালে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলের মৃত্যুর পেছনে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা বর্তমানে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার প্রত্যক্ষ ইন্ধন রয়েছে এমনই আভিযোগ করে মামলা করেন পবিত্রর মা কল্পনা ঘোষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই  শুক্রবার বর্ধমানের সিজেএম শম্পা সহ চার জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আদালতে কল্পনাদেবী আভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে পবিত্র আইটিআই  কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করার পরে এক নামি বেসরকারি সংস্থায় তিনি চাকরি পান। কিন্তু প্রেমিকা শম্পা তাঁকে অন্যত্র যেতে দেননি। তিনি  পবিত্রকে এরাজ্যেই চাকরি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন ফলে পবিত্র বেসরকারি সংস্থার চাকরি নেননি।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অভিযোগ, সভাধিপতি হওয়ার পরে শম্পার সঙ্গে রায়নার শ্যামসুন্দরের এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠতা হয়। পবিত্র এর প্রতিবাদ করেন। সেজন্য তাঁকে মারধর করা হয়। কাপশিট গ্রামের এক তৃণমূল নেতা তাঁদের বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যান। ৫ জানুয়ারি সেই তৃণমূল নেতা ও সভাধিপতি পবিত্রদের বাড়িতে এসে তাঁকে মোবাইলের সব তথ্য ও কয়েকটি ছবি দিতে বলেন। বিনিময়ে তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা দিতে চাওয়া হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু পবিত্র এর পরেও কিছু দিতে রাজি হননি। অভিযোগ, তখন তাঁর পরিবারের লোকজনকে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ১৩ জানুয়ারি পবিত্রকে জেলা পরিষদে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে সিসিটিভির ক্যামেরা বন্ধ করে সভাধিপতি, এক ঠিকাদার সহ কয়েকজন পবিত্রকে মারধর করেন। তাঁর মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে পবিত্র কান্নাকাটি করেন। রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে তিনি ঘুমোতে যান। সকালে তাঁর ঘরে পাওয়া যায় সুইসাইড নোট। পবিত্রর মা বলেন, তাতে সভাধিপতি, এক ঠিকাদার ও অপর দু’জনকে আত্মহত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্রবার আদালত প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে কল্পনা ঘোষের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পবিত্রর মৃত্যুর পরে নানা মহল থেকে তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। লোভও দেখানো হয়। মৃতের ছোট ভাইয়ের চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী স্থানীয় বিধায়কের মোবাইলে ফোন করে পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি খণ্ডঘোষ থানায় জানানো হয়। থানা এক তৃণমূল কর্মীকে দিয়ে অভিযোগ লেখায়। মৃতের পরিবারের এক সদস্যকেও সেখানে সই করতে বলা হয়। বিষয়টি জেলার পুলিশ সুপারকে জানানো হয়। অভিযোগ, তার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তখন মামলা করেন মৃতের মা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সভাধিপতি অবশ্য একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন মামলার কথা জানা নেই।
খণ্ডঘোষ থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত বলেন, এখনও মামলার বিষয়ে কিছু জানা নেই। আদালত নির্দেশ দিলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, যা অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। কেসের ব্যাপারে কিছু জানা নেই।

RELATED ARTICLES

Most Popular