Homeরাজ্যদক্ষিণবঙ্গসেই পিংলাকেই ভয়, সায়ন্তনের পথ আটকালো পুলিশ

সেই পিংলাকেই ভয়, সায়ন্তনের পথ আটকালো পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: তিন আগেই মেদিনীপুরে রক্তদান শিবিরে এসেছিলেন বিজেপির সাধারন সম্পাদক। কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু শনিবার সেই পশ্চিম মেদিনীপুরেরই পিংলা যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়লেন সায়ন্তন বসু। দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার শ্রীরামপুরে প্রথম তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। পরে আষাঢ়িতেও একইভাবে গাড়ি আটকানো হয় তাঁর।

বিজেপি সূত্রে জানা গেছে শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় দলীয় কর্মসূচি ছিল তাঁর। সেই অনুযায়ী সকালেই ব্যক্তিগত গাড়িতে পিংলার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। পথেই ডেবরা থানার শ্রীরামপুরে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। কোনওভাবে পিংলায় তাঁকে যেতে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানায় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসায় জড়িয়ে পড়েন গেরুয়া শিবিরের নেতা। এরপর আষাঢ়িতেও তাঁর গাড়ি আটকানো হয়। নিয়মশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় তাঁকে পিংলায় যেতে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়ে দেন পুলিশ আধিকারিক। যদিও তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। দলীয় কার্যালয়ে যেতে কেন বাধা দেওয়া হবে, সেই প্রশ্ন করেন বিজেপি নেতা। যদিও সে বিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।

দিন পাঁচেক আগেই পিংলার সাঙাড় নামক একটি গ্রামে আমফান বিধ্বস্ত পরিবার গুলিকে তার্পোলিন বিলি করতে গিয়েছিলেন পিংলার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। মন্ত্রী ফিরে আসার পরই বেছে বেছে তৃনমূলের সমর্থকদেরই ত্রান দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ তুলে শুরু হয় বচসা। একটি বেআইনি মদের ঠেকের সেই বচসা থেকেই শুরু হয় সঙ্ঘর্ষ। যাতে তৃনমূলের দু’জন আহত হন। ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় বিজেপি কর্মী। আর তারপর থেকেই আরও উত্তপ্ত পিংলা।

লোকসভায় তৃনমূলের ফল কার্যত জেলার মধ্যে uসবচেয়ে খারাপ এই পিংলাতে। জন সমর্থনে কার্যত ধ্বস নেমেছে এই বিধানসভা এলাকায়। বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যের বাড়ি এই পিংলা এলাকায় আর সেই সুবাদে সভানেত্রী তীব্র স্নায়ুচাপে রেখেছেন শাসকদলকে। সেই পিংলাতে সায়ন্তনের মত জাঁদরেল বিজেপি বক্তা শাসকদলকে আরও চাপে ফেলে দিতে পারে এমনই অনুমান করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular