নিজস্ব সংবাদদাতা: জেলা জুড়ে সমালোচনার মধ্যেই নিজেকে নিরবিছন্ন উন্নত করার চেষ্টা চালিয়েই যাচ্ছে শালবনী লেভেল ফোর করোনা হাসপাতাল। সোমবার তারই অঙ্গ হিসাবে একটি ২০ শয্যার HDU ওয়ার্ড চালু করলেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন “HDU অর্থাৎ হাই ডিপেন্ডসি ইউনিট যেখানে মূলতঃ কো-মর্বিডিটির কারনে ঝুঁকিপূর্ন রোগিদের আমরা ২৪ ঘন্টা প্রযুক্তিগত নজরদারিতে রাখতে পারব।”
ওই কর্তা জানান, “প্রায় ২০২ শয্যার এই হাসপাতাল বর্তমানে উপসর্গযুক্ত করোনা রোগিদের জন্য। আগে মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীনরাও থাকতেন কিন্তু এখন তাঁদের পৃথক ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে শুধু জোরালো উপসর্গ রয়েছে এমনরাই থাকছেন। এখন এঁদের মধ্যেও দুটি তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রধানভাগটি হল কো-মর্বিডিটি যুক্ত ও কো-মর্বিডিটিহীন। কো-মর্বিডিটি যুক্তদের মধ্যেও মাত্রাভেদ রয়েছে। যাঁদের সমস্যা গুরুতর তাঁদের এই ওয়ার্ডে আনা হচ্ছে।”
জানা গেছে মূলত হার্ট, ফুসফুস ইত্যাদি জটিল পরিস্থিতিতে উপনীত হওয়া রোগীদের একটি সমন্বিত মনিটরিং ব্যবস্থার মধ্যে রাখার জন্যই এই ওয়ার্ডটি ব্যবহৃত হচ্ছে। চিকিৎসার আগে বা চিকিৎসা চলাকালীন কেউ ঝুঁকি পূর্ন হয়ে পড়লে তাঁকে এখানেই সরিয়ে আনা হবে।
এদিন শালবনী হাসপাতালে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল প্রথম সফল ডায়ালিসিসি ব্যবস্থা চালু হওয়া। জানা গেছে দিন ১৫আগে সরস্বতী কোলে নামে এক ৩৫ বছরের মহিলাকে সাপে কামড়ায়।
ওই মহিলা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। পরে তাঁর করোনা ধরা পড়লে তাঁকে করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই মহিলা সম্ভবত চন্দ্রবোড়া প্রজাতির সাপে দংশিত হন যে কারনে তাঁর ডায়ালিসিস প্রয়োজন হয়। সেই ডায়ালিসিস প্রক্রিয়ায় আজ প্রথম সফল প্রয়োগ হল। এক স্বাস্থ্য কর্তা জানান, “এবার থেকে কিডনির সমস্যা যুক্ত কো-মর্বিডিটি করোনা আক্রান্তদের ডায়ালিসিস করা সম্ভব হবে। ফলে অনেকটাই দুশ্চিন্তা মুক্ত হওয়া গেল।”