নিজস্ব সংবাদদাতা: মার্চের জোড়া আত্মহত্যা ঘটনার পর ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার অন্তর্গত কেন্দ্রীয় পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী কোবরা (Commando Battalion for Resolute Action) ৬৬নম্বর ব্যাটালিয়নে। আত্মহত্যা করলেন এক জওয়ান। বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটা নাগাদ ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই জওয়ানের নাম শিবকান্ত প্রসাদ।
জানা গেছে ৩৮ বছরের ওই যুবকের বাড়ি উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার অন্তর্গত পাকারি থানার অন্তর্গত উকাছি গ্রামে। কনস্টেবল পদে বহাল ছিলেন তিনি। কোবরা ব্যাটালিয়নের সদরদপ্তর সূত্রে জানা গেছে গত রবিবার (২৭জুন) ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ফিরেছিলেন ওই জওয়ান। তারপরই নিয়ম অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। যে রুমে তাঁকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল সেই রুমেরই সিলিংয়ে দড়ি লাগিয়ে ঝুলে পড়েন ওই জওয়ান।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ১নম্বর ব্যারাকের তিন তলায় ২১ নম্বর রুমে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন শিবপ্রসাদ। বুধবার দুপুরেও নিয়মমত তাঁর রুমে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। এরপর সাড়ে ৩টা নাগাদ রুমের সামনের করিডর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎই রুমের জানলা দিয়ে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর অন্যান্য সহকর্মীরা। দ্রুত দরজা ভেঙে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। এরপরই শালবনী পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়।
এখনও অবধি মানসিক অবসাদকেই এই আত্মহত্যার কারন মনে করা হচ্ছে। যদিও সেই অবসাদের কারন কী, তা জানা যায়নি। ছুটি কাটিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার ৩দিনের মাথায় কেন এই ঘটনা ঘটল তা পরিস্কার নয়। শিবপ্রসাদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এলে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে অবসাদের প্রকৃত কারন জানা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য এবছর মার্চ মাসে সার্ভিস রিভালবারের গুলিতে জোড়া আত্মহত্যার ঘটনায় খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল কোবরার এই ৬৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তর। উদ্ধার হয়েছিল দুই পুরুষ ও মহিলা জওয়ান ৩৭বছরের রাজীব কুমার ও ২৭বছরের রাবড়ি সেজাল বেনের গুলিবিদ্ধ দেহ। আলাদা আলাদা ভাবে বিবাহিত এই দুই জওয়ানের মধ্যে বিবাহোত্তর সম্পর্ক ছিল বলে জানা যায়। সেবারও ছুটি কাটিয়ে ক্যাম্পে ফেরার পর ঘটনাটি ঘটেছিল। ৪ মাসের পর ফের একটি আত্মহত্যা স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।