Homeএখন খবরসবংয়ের জন্য জোড়া সোনা আনছে সোনার মেয়ে সম্প্রীতা

সবংয়ের জন্য জোড়া সোনা আনছে সোনার মেয়ে সম্প্রীতা

শনিবার ম্যাঙ্গালোরে জোড়া সোনা নিয়ে সম্প্রীতা  

নিজস্ব সংবাদদাতা: একটা নয়, দু’ দুটো সোনার মেডেল গলায় ঝুলিয়ে সবংয়ের সোনার মেয়ে সম্প্রীতা। কর্ণাটকের ম্যাংগালোরে চলতে থাকা ৩৭তম জাতীয় বুদোকান চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি বিভাগে অংশ নিয়ে দুটিতেই প্রথম হয়েছে খাজুরি দশগ্রাম এমভিকেভি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী সম্প্রীতা পাল।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং থানার দশগ্রাম দেহাটির বাসিন্দা সঞ্জয় পাল ও পুতুল পালের প্রথম কন্যা ১৪বছরের সম্প্রীতা দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে অংশ নেওয়া ৩৫জন প্রতিযোগীকে টপকে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছেন। সম্প্রীতা তার স্কুলে পড়াশুনার পাশাপাশি গত প্রায় আড়াই বছর ধরে ক্যারেটের প্রশিক্ষন নিচ্ছে পাঁশকুড়ার ইকবাল আহমেদের নেতৃত্বে ।

বোন, বাবা, ইকবাল স্যার আর বন্ধুদের সাথে 

ইকবালের ওয়েস্টবেঙ্গল বুদোকান ক্যারেটে ডু এসোসিয়েশন নামক ক্যারাটে প্রশিক্ষন কেন্দ্র  পাঁশকুড়ার পাশাপাশি কলকাতার ট্যাংরা আর পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচকেও শাখা রয়েছে যেটা মুলত দেখেন ইকবালের আর একজন সহ প্রশিক্ষক রাম সরেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রতিযোগী দলটির সঙ্গে কর্ণাটকেরম্যাঙ্গালর শহরে থাকা ইকবাল জানিয়েছেন, ”  ফাদার মুলার ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলা এই চ্যাম্পিয়নশিপে ‘কাপা ‘ ও ‘কুমিতা’ বিভাগে ষাট কেজি উর্দ্ধ বিভাগে ওপেন ক্যাটাগরিতে লড়াইটা খুবই কঠিন ছিল। একেকটি বিভাগে ৩০ থেকে ৩৫জন প্রতিযোগী ছিল। সম্প্রীতাকে কৌশল প্রয়োগের পাশাপাশি যথেষ্টই মনঃসংযোগ করতে হয়েছে এই জয় ছিনিয়ে আনার জন্য। আর এক সঙ্গে দুটি সোনা জেতা আরও কঠিন ছিল । ”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনি আর রবিবার কখনও মা আর কখনও বাবার সঙ্গে বালিচক , পাঁশকুড়া যাতায়ত করেছে সম্প্রীতা। সম্প্রীতার মা পুতুল জানান, ‘বাস আর ট্রেনে করেই ওকে নিয়ে আমি যেতাম বালিচক অথবা পাঁশকুড়ায় ইকবাল স্যারের শিবিরে। কোনও কোনও দিন অনেক রাত হয়ে যেত ফিরতে। আমার স্বামী কিংবা ছোট মেয়ের জন্য হয়ত রান্নাই করতে পারিনি। রাতে মুড়ি খেয়েই কাটিয়ে দিতে হয়েছে। আজ সব কষ্ট ভুলে অপেক্ষায় আছি মেয়ের ঘরে ফেরার জন্য । কখন ওকে বুকে জড়িয়ে ধরব।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্প্রীতার বাবা সঞ্জয় নিজের বাড়িতে একটি ব্যাঙ্কের কাউন্টার চালিয়ে গ্রামীন পরিষেবা দিয়ে থাকেন। সঞ্জয় জানালেন, ” মেয়ে আমার শুধুই আমাদের জন্য নয়, সবংবাসী তথা রাজ্যবাসীর জন্য সোনা এনে দিয়েছে। আমরা গর্বিত যে ও আমাদের মেয়ে।”

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্প্রীতার ছোট বোন ৭বছরের জয়িতাও কিছু কম যায়না। পড়াশুনার পাশাপশি সেও গান শেখে। সম্প্রতি কলকাতার একটি টিভি চ্যানেলে গান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। সেও অধীর আগ্রহে দিদির বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।ইকবাল জানিয়েছেন, তিন দিন ধরে চলা এই চাম্পিয়নশিপ শেষ হচ্ছে রবিবারই। সোমবার ফ্লাইট ধরলে সন্ধ্যের মধ্যেই কলকাতা ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর সম্প্রীতা জানিয়েছে, ”আমার লড়াই শেষ হয়েছে আপাতত। আমার বাকি বন্ধুদের সাথে রয়েছি। কবে বাড়ি ফিরব সেই উত্তেজনাই কাজ করছে। মা বাবা আর বোনের হাতে তুলে দেব আমার জয়।” 

RELATED ARTICLES

Most Popular