নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোর তিনটে নাগাদ ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার সামগ্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং বাজারের এই ঘটনায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীর। লকডাউনে ভয়াবহ ক্ষতি হয়েছে ব্যবসার। প্রায় তিনমাস দোকান পাট বন্ধ থাকায় মার খেয়েছে ব্যবসা। আর সেই মন্দা কাটিয়ে উঠে সবে মাত্র বেচাকেনা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল, তার আগেই এই বিধ্বংসী আগুন কার্যত কোমর ভেঙে দিয়েছে ‘হরগৌরী ইলেকট্রিকস’য়ের মালিক রতন দাসের। কান্নায় ভেঙে পড়ে এমনটাই দাবি করলেন রতন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার ভোররাতে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সবং থানা মারফৎ সেই খবর গিয়ে পৌঁছায় দমকলে। পরিস্থিতি অনুধাবন করে খড়গপুর থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টার পরে দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তবে আগুনে নিভলেও আর কোথাও ফায়ার পকেট রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা।
রতন দাস জানিয়েছেন, “ভোর চারটে নাগাদ আমি খবর পাই যে আমার দোকানে আগুন লেগেছে। খবর পেয়েই ছুটে আসি। এসে দেখি দাউ দাউ করে জ্বলছে গোটা দোকান। দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। বাজারে পাশাপাশি দুটো ঘর নিয়ে আমার দোকান ছিল। লকডাউনের সময় জমে থাকা সামগ্রীতো ছিলই, আনলক হওয়ার পর নতুন করে কিছু সামগ্রীও আনা হয়েছিল। সবটাই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার প্রাথমিক অনুমান ১৫ থেকে ২০লক্ষ টাকার সামগ্রী পুড়ে গেছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে খুচরো ব্যবসার পাশাপাশি সবং এলাকার বিভিন্ন গ্রামপঞ্চায়েত গুলির ছোটবড় বাজার গুলির বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের দোকানগুলিও পাইকারি হারে সামগ্রী কিনত এই দোকান থেকে। পাশাপাশি ঘরের ওয়ারিংয়ের জন্য বিদ্যুৎ মিস্ত্রিরাও মূলত এখান থেকেই সামগ্রী কিনতেন। বৈদ্যুতিক সামগ্রী যেমন আলো, পাখা, মোটর ইত্যাদির পাশাপাশি বিদ্যুৎবাহী তার, প্লাস্টিক পাইপ, কেসিং ইত্যাদি প্রচুর সামগ্রী মজুত ছিল দুটি দোকানে তাই আগুন ছড়িয়েছে দ্রুত।
দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সম্ভবত শর্ট-সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে। আর বিদ্যুৎ সরঞ্জামে বোঝাই দোকানের দুটি কামরাই জতুগৃহ হয়েই ছিল ফলে আগুন ছড়াতে সময় লাগেনি। ঘটনাস্থলে রয়েছে সবং থানার পুলিশ। দোকান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত জিনিস সরিয়ে শেষবারের মত আগুনের নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছেন দমকল কর্মীরা।