নিজস্ব সংবাদদাতা: ভাঁটা পড়ছেনা সবংয়ে, করোনা সংক্রমন বেড়েই চলেছে। পুলিশ কর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স নিজেরা আক্রান্ত হয়েও প্রান পণ লড়াই চালিয়েও রুখতে পারছেননা সংক্রমন কারন নিয়ম না মানার প্রবনতা আর বেপরোয়া বাজারে ভিড়, জমায়েত ইত্যাদি চলছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছেন না। অনাবশ্যক মানুষ বাজার ঘাটে ভিড় করছেন, বাইরে বের হচ্ছেন এবং বাইরে বেরিয়ে ঘরে ফিরে জামা কাপড় খুলে ফেলা, হাত ধোয়া ইত্যাদি নীতি অনুসরণ করছেননা।
কী হারে সংক্রমন বাড়ছে তার একটি সংখ্যাতত্ত্ব ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’য়ের সামনে এসেছে। ২১শে আগষ্ট অবধি সবংয়ে মোট আক্রান্ত ছিলেন ৬৬জন আর সক্রিয় আক্রান্ত ছিলেন ৩৪জন। ১৪দিনের মাথায় ৪ঠা সেপ্টেম্বর সবং এলকায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১২৬ জনে এবং সক্রিয় আক্রান্ত ৪০জন। অর্থাৎ ১৪দিনে আক্রান্ত বেড়েছে ৬০জন। গড়ে ৩.৪ জন প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন। আরও ৯দিন পরে ১৩ই সেপ্টেম্বর আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১৫০ জনে। আরও ৫দিন পরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা কী দাঁড়ায় তাই দিয়ে গত ১৪দিনের গড় আক্রান্তের হার আমরা বের করতে পারব তবে এই ৯ দিনে সংখ্যাটা দিন প্রতি ৩জনের কাছাকাছি চলেই গেছে।অর্থাৎ প্রায় একই আছে সংক্রমনের হার।
আশার কথাও একটু আছে, সুস্থতার হার বেড়েছে। বর্তমানে সক্রিয় কোভিডের সংখ্যা ৯০জন। কিন্তু এই সুস্থতার হার কমে যেতে সময় লাগবেনা যদি এক সঙ্গে অনেক আক্রান্ত বেরিয়ে পড়ে।
গত ২ দেড় দিনে ৩জন আক্রান্তে সন্ধান মিলেছে সবংয়ে। সবং সদর এলাকার বলরামপুরের ৪৫ বছরের এক ক্যানসার আক্রান্তের রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যাওয়ায় রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। রক্ত জোগাড়ও হয়ে যায়। চিকিৎসকরা রক্ত দিতে গিয়ে শরীরে তাপমাত্রা অনুভব করে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন করোনা পজিটিভ। সাথে সাথে শালবনী হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে।
ওই দিন রাতেই বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার কালীদহ চড়া এলাকার এক ১৩ বছরের বালকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। জ্বর নিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোর। তাঁকেও শালবনী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিবার ওই কিশোরের সঙ্গে থাকা মায়ের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হলে তাঁরও পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁকে ডেবরা সেফ হোমে পাঠানো হয়েছে। রবিবার অবধি আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় ৯৩জন এবং আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় ৫৭ জনের করোনা ধরা পড়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত দেভোগ এবং তারপরেই সবং সদর এলাকা। এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত অবস্থায়। এর মধ্যে ৩ জনের মৃত্যুর পরে করোনা চিহ্নিত হয়।