✒️ কলমে: দুরন্ত বিজলী
- প্রকৃতিপরমা
আগুন মেয়েটির ফাগুন পাহাড়ের রুখাশুখা মাটির উপর পা ফেলে ফেলে সমতলে নেমে আসে। তার কাছে যাই, পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে
অক্ষর গুঁজে দিয়ে পলাশ ফোটাই। পলাশ মহুল কৃষ্ণচূড়া তার খোঁপায় হাসে।
মেয়েটির চোখেও আগুন, তার ঘন কুয়াশামাখা বুকের ভিতর তাকেই খুঁজি। তাকে ভীষণভাবে জড়িয়ে ধরে কী যে ভালোলাগা খাই!
‘করোনা’র মৃত্যুছোঁয়া সেখানে যেতেই পারে না।
2. সে আমার
দুরন্ত বিজলী
নির্জনতা থেকে বিদ্যুৎ নেমে আসে, পোড়ায়।
কখনো আলো কখনো অন্ধকার রহস্যগন্ধী হাওয়ায় ভেসে যায়।
আমি তার চোখের ভিতর থেকে মণি উপড়ে নিয়ে আমার চোখে বসিয়ে দিতে গেলাম।
আমি অন্ধ হয়ে গেলাম,
আমি বন্ধ হয়ে গেলাম।
কিন্তু তখনও সে গাছ হয়ে ফুল ফোটায়,
ফল দেয়।
সে পুরুষ বা মহিলা,
সে বালক বা বালিকা,
সে তৃতীয় লিঙ্গও হতে পারে।
আমার ভিতর সে রাজত্ব করে,
আমি তার উপর প্রভুত্ব করি,
দাসত্ব, প্রেম ও প্রণয়ের বন্ধন রচনা করি।
সে আমার, আমি তার কিনা সময় জানে।