✍️কলমে: সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
<<<<ডিম্পু>>>>
ভোটের প্রচার সেরে নবীন ঘরে ফিরেই বউয়ের
দিকে তাকিয়ে ইশারায় জানতে চাইল,জগৎ কাঞ্চা কি
মাল দিয়ে গেছে?
বউ একটা মালের বোতল এনে রাখল টেবিলে।
দেখে নবীন রেগে কাঁই। পোষা ল্যাব্রেডরটার গলায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল, আরে বাবা গান্ধী বাবার
কথা বলছি। আমি কি এই মাল বলেছি!
বউ টাকা আনতে ভিতরে যায়। কুকুরকে আদর
করতে করতে বলে,আরে বাবা ব্যবসা করবি নজরানা
দিবি না হয়! কী বল ডিম্পু! ডিম্পু কুচকুচে চোখ দুটি
ঘুরিয়ে চারপাশ দেখছিল। হঠাৎই মনিবের পায়ের পাতায় কামড় বসাতেই ছিটকে পড়ে নবীনবাবু।দেখে
অবাক! কানের কোল ঘেঁসে বিরোধী গুলি ছুটে গিয়ে
দেওয়ালে ধাক্কা খেল। প্রাণে বাঁচল নবীনবাবু।
কুকুরটাকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে করতে
সে বলল- সাবাশ! ডিম্পু। সাবাশ!তুই না কামড়ালে যে আমি ছিটকে না গেলে তো মারা যেতাম। ওরে তোর মতো এমন বন্ধু আর কে আছে !!
<<<<কালবৈশাখী>>>>
সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
একটা সোঁ সোঁ আওয়াজ ঈশান কোণে স্বর্ণাভা ছড়িয়ে ছুটে আসছে। বৈশাখের রুদ্র রূপের উপর ছড়িয়ে দিল শান্তির জললিপি। কিন্তু ভোটবাবুদের
সমস্ত রোষ গিয়ে পড়ল ভগবান ব্যাটার উপর। কেউ
কেউ মুখ ফসকে দু-অক্ষর, চার-অক্ষরের ব্যবহার
আচমকা করে ফেলল। কাঁধের পতাকা জাপটে ধরে
কেউ লুকিয়ে হাত কপালে ঠেকিয়ে নিল। যাতে খুব
দোষ না নেয় ভগবান। কারণ ভোটের ফল বেরোনো বাকি। একজন,অন্যজনকে ফিসফিস করে বলল- — গাড়ল, গাম্বাটগুলো আর কবে বুদ্ধি হবে! এই সময় ভগবান বা আল্লাহকে কেউ ক্ষ্যাপায়! কবে যে সহজ সত্যটা বুঝবে!
ঝড় আছড়ে পড়ে তছনছ করে দেয় সব। সব দলের পতাকা ভিজে লতপত করছে। একে অপরকে এমন বুকে জড়িয়ে ভিজছে যেন সবাই সবার সাহারা,হরি-হর আত্মা
‘আহা! এটা যদি সত্যি হত!’ বলতে বলতে নিখিলদা পানের খিলি মুখে পুরে বলে—ঝড় থেমেছে চল চল বাড়ি যাই। মনে রাখিস কালবৈশাখীর শুরু।