ওয়েব ডেস্ক : একজন মানসিক অবসাদগ্রস্ত মানুষকে ভালবেসে তাকে সঙ্গ দিয়ে সুস্থ জনজীবনে ফিরিয়ে আনার প্রতিদান পেলেন রিয়া! রিয়া চক্রবর্তীর সাথে মাদক যোগ রয়েছে, এই সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার থেকে টানা চারদিন জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার ঘটনায় এমনই প্রতিক্রিয়া জানালেন রিয়ার আইনজীবী। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জিজ্ঞাসাবাদ, আচার আচরন, আভাস ইত্যাদিতে রিয়া যে গ্রেপ্তার হতেই চলেছেন সে বিষয়টি যেন শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। রিয়ার আইনজীবী বলেই দিয়েছিলেন, রিয়া গ্রেপ্তারির জন্য প্রস্তুত। রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীও বলেছিলেন, ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর এবার মেয়েকেও গ্রেপ্তারের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল শেষে। নোটিস অনুযায়ী মঙ্গলবারও জেরার জন্য এনসিবি দপ্তরে উপস্থিত হয়েছিলেন রিয়া। আর সেই জেরা পর্ব চালকালীনই মাদককাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকবার অপরাধে রিয়াকে গ্রেফতার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই যখন সারা দ্বিধা বিভক্ত, সেসময় রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে রিয়ার গ্রেপ্তারিতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন, তিনি বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রহসন চলছে।’
এদিন রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে বলেন, “তিনটি কেন্দ্রীয় সংস্থা হাত ধুয়ে একজন মহিলার পিছনে পড়েছে, কারণ সে এমন একজনকে ভালোবাসত যে মাদকাসক্ত ছিল এবং মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিল বেশ কয়েক বছর ধরে এবং মুম্বইয়ের পাঁচজন নামী মনো চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করছিল। যে আত্মহত্যা করে নিজের জীবন শেষ করে দিয়েছে, তাঁকে বেআইনিভাবে দেওয়া ওষুধের সেবন করে।” তবে জানা গিয়েছে, টানা তিনদিনের জেরার পর মঙ্গলবার রিয়া নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি মাদক সংগ্রহের পাশাপাশি মাদক সেবনও করতেন। এমনকি তিনি মারিজুয়ানা ভর্তি সিগারেটের সেবন করেছেন। পাশাপাশি রিয়া মেনে নিয়েছেন যে তিনি ড্রাগ সংগ্রহ করতেন। তবে একইসাথে একথাও বারংবার দাবি করেছেন অভিনেত্রী যে তিনি সুশান্তের জন্য মাদক সংগ্রহ করতেন।
তবে শুধুমাত্র রিয়া চক্রবর্তীর মুখের স্বীকারোক্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা নয় এমনটাই দাবি এনসিবির । পাশাপাশি রিয়ার বিরুদ্ধে প্রচুর ইলেকট্রিনক প্রমাণও রয়েছে৷ এতদিন এনসিবির তরফে সেই প্রমাণগুলির অপেক্ষা করা হচ্ছে৷ সেগুলি হাতে আসার পরেই মঙ্গলবার রিয়াকে গ্রেফতার করল এনসিবি। তবে এদিন রিয়া নিজের বয়ানে দাবি করেছেন, রিয়া সুশান্তের জীবনে আসার অনেক আগে থেকেই (২০১৬) সুশান্ত মাদক সেবন করতেন। এদিকে এনসিবি সূত্রের খবর, রিয়াও অনেক আগে থেকেই মাদক সেবন করতেন। তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে এনসিবির হাতে। এদিন বিকেলে রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করার পর জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে রিয়াকে পেশ করা হবে বলেই জানিয়েছেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মালহোত্রা।