Homeএখন খবরচিকিৎসার জন্য গিয়ে দু'হাজার কিলোমিটার দুরে বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া মেদিনীপুরবাসীর কাছে ত্রান...

চিকিৎসার জন্য গিয়ে দু’হাজার কিলোমিটার দুরে বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া মেদিনীপুরবাসীর কাছে ত্রান পৌঁছে দিল মিডনাপুর ডট ইন

নিজস্ব সংবাদদাতা: ওড়িশা সীমান্ত থেকে ঝাড়খন্ড ঘেঁষে থাকা সাবেক মেদিনীপুর বা অধুনা দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার প্রান্তিক অঞ্চলের আর্তজনের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়ার কাজটা চলছিলই তারই মধ্যে নতুন দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল মেদিনীপুর ডট ইন। বেঙ্গালুরু সহ ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বহু রোগী ও তাঁদের পরিবার। স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, প্রতিষ্ঠান হয়ত এঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যাঁরা রোগী, যাঁদের পথ্য আলাদা তাঁদের কি হবে? স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির বা প্রতিষ্ঠান গুলির পক্ষে পথ্যের যোগান দেওয়া সম্ভব নয়।

মেদিনীপুরের এই ধরনের যাঁরা ভিন রাজ্যে আটকে তাঁদের জন্য এবার এগিয়ে গেল মিডনাপুর ডট ইন। পশ্চিম মেদিনীপুরের হাতিহলকা গ্রামের এরকমই কয়েকজন বাসিন্দা টিংকু খান, সুধীর পাঠানরা মহিলা ও শিশু সহ মোট দশ জন বেঙ্গালুরুর সাঁই বাবা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আটকে পড়েন। ঘর ভাড়া এবং খাবার মতো টাকাও শেষ হয়ে গেছিল। এঁদের খাবার যোগাচ্ছিল স্থানীয় পৌরসভা ব্রুহত বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার ক্যান্টিন। বেঙ্গালুরু শহরের সমস্ত জায়গাতেই এই ক্যান্টিনের তৈরী করা খাওয়ার বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু টিংকু খানরা এই খাওয়ার খেতে পারছিলেন না কারণ তাদের মধ্যে অনেকেই গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগী।

মিডনাপুর ডট ইনের কর্নধার অরিন্দম ভৌমিক জানান,”আমাদের ভাবনার মধ্যেই বহির্বাংলার এই মানুষদের বিষয়টি ছিল যে কারনে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করেছিলাম যে বেঙ্গালুরুতে আটকে থাকা মেদিনীপুরবাসীকে সাহায্য করতে চাই। সেই বিজ্ঞপ্তি দেখে কবির পুরস্কারপ্রাপ্ত ইয়াসিন পাঠান মহাশয় যোগাযোগ করেন আমাদের সঙ্গে, জানান তাঁরই গ্রামের টিংকু খান, সুধীর পাঠানদের অসুবিধার কথা। ইতিমধ্যেই আমরা বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব ও ‘মৈত্রী বন্ধন’ নামে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। ফলে আমাদের সুবিধাই হল।”

ইয়াসিন পাঠানের কাছে খবর পেয়েই মিডনাপুর ডট ইন ‘মৈত্রী বন্ধন’ এর মাধ্যমে চাল, ডাল, আটা, আলু, পেঁয়াজ, তেল, নুন, বিভিন্ন মসলা, বিস্কুট, চা, সাবান ইত্যাদি পৌঁছে দেয় টিংকু খানদের কাছে। নিয়মিত সবজি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার টাকা সরাসরি পাঠাবার জন্য টিংকু খানদের একাউন্ট লিংক করেছে ওই সংস্থা। এছাড়াও বাড়ি ফেরার জন্য কর্ণাটক সরকারের অনলাইন ফর্মে টিংকু খানদের নাম নথিভুক্ত করে দিয়েছে মিডনাপুর ডট ইন।

ইয়াসিন জানিয়েছেন, একটি অভাবনীয় উদ্যোগ মিডনাপুর ডট ইনের। ২০০০ কিলোমিটার দুরে বসে থাকা মানুষগুলোর বিপদে এঁরা যেভাবে দাঁড়িয়েছেন তা ভাবনারও অতীত। টিংকু, সুধীরদের পাশাপাশি আমিও কৃতজ্ঞ রইলাম এঁদের কাছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular