নিজস্ব সংবাদদাতা: মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর ৩ খুনের ঘটনায় কার্যত স্তম্ভিত হয়ে গেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ। খবর এসেছে রায়গঞ্জের এক গৃহবধূ তাঁর স্বামী আর দুই নাবালক সন্তানকে খুন করেছে নিজের প্রেমিকের সাথে হাত মিলিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবে যেখানে কাজের সুবাদে নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গেছিলেন নিজের সন্তানদের সাথে খুন হওয়া ওই স্বামী। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত মহিলা ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনটি দেহ এসে পৌঁছেছে রায়গঞ্জের গ্রামে।
জানা গেছে ওই পরিবারটি রায়গঞ্জের গৌরি পঞ্চায়েতের হাতিয়া স্কুল সংলগ্ন পাঠালটুলির বাসিন্দা। এখানকারই এক ব্যক্তি মঙ্গু শেখ একজন ঠিকাদারের অধীনে পঞ্জাবের সীমান্তে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গেই ওই ঠিকাদারের অধীনেই সহযোগী মজুরের কাজ করতেন স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। ওখানে ক্রমশ আয় বাড়তে থাকায় এক এক করে নিজেদের তিন সন্তানকেই নিয়ে গিয়েছিলেন মঙ্গু ও মর্জিনা।
যেমন গত বছর ৫ বছরের ছেলে আলি শেখকে নিয়ে পাঞ্জাবে পাড়ি দিয়েছিল ওই দম্পতি। পরবর্তীতে ৮ বছরের সোহেল আলি ও বছর দশেকের মেয়ে আদুরি খাতুনকেও কর্মস্থলে নিয়ে যায় তাঁরা। অভিযোগ, কর্মসূত্রেই ঠিকাদার অরিজিৎ সিংহের সঙ্গে আলাপ হয় মর্জিনার। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। সহবাসও করে তারা। তাদের এই অবাধ মেলামেশায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মর্জিনার স্বামী মঙ্গু। সেই কারণেই খুনের ষড়যন্ত্র করে প্রেমিক যুগল।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে পাঞ্জাবে ফরিয়াবাদ সীমান্ত ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকার বাড়িতে মঙ্গু ও তাঁর দুই শিশু সন্তানকে নৃশংসভাবে খুন করে অরিজিৎ ও মর্জিনা। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষ্যদর্শী আদুরি খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। তারপর খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জে। গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে পাঞ্জাবের হাসপাতালের মর্গ থেকে তিনজনের দেহ নিয়ে রায়গঞ্জের বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার দেহ পৌঁছয় গ্রামে। কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।