নিউজ ডেস্ক :বাংলার রাজনীতিতে দো ফুল এক মালি-র অনুষঙ্গ যুক্ত করে ফেলেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। হয়ত একান্তই ব্যক্তিগত হতে পারত বিষয়টি কিন্তু তা হতে পারেনি রাজনীতির অনুষঙ্গে, হতে পারেনি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আসক্তিতে। বৈশাখীকে আমন্ত্রণ না জানালে তিনি যেমন রাজনৈতিক মিছিলে হাঁটতে পারেননা ঠিক বৈশাখীর ক্ষেত্রেও তাই। বিনা শোভনে ‘শোভনীয়’ নন তিনিও। আর এসবের মধ্যেই আবশ্যক ভাবেই চলে আসেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে ফুল ঘাস কিংবা পদ্ম যাই-ই হোকনা কেন, দো ফুল আর এক মালি গল্পটা চলতেই থাকে। যেমনটা নতুন এপিসোড শুরু হল সোমবার থেকে।
বিধানসভা নির্বাচনে তৃনমূলের ব্যাপক জয় ফের খুলে দিয়েছে আয়ারাম-গয়ারাম সিরিয়াল। ‘ইধার কা মাল উধার’ পদ্ধতিতে ‘বেইমান-গদ্দার’দের শুদ্ধিকরনের পর ফের জল ঢুকছে কালীঘাটে। তারই মধ্যে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে ফেরার জল্পনা ফের দানা বেঁধেছে। সোমবার রাতে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন-বৈশাখীর উপস্থিতি ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও পার্থর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছেন বৈশাখী।
তবে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গেল বৈশাখীর গলায়, তাতে তাঁদের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা বেড়েছে। আর এ নিয়ে এবার শোভন-বৈশাখীকে একহাত নিলেন
রত্না চট্টোপাধ্যায়। অন্য অনেকের মতই রত্নাও হয়ত মনে করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় হয়েই পুরানো দলের ফেরার রাস্তা কংক্রিটে বাঁধাচ্ছেন শোভন আর সেই মসৃণ পথে এবারও বৈশাখীকেই সাথে নিয়ে চলতে চান। আর সেটা বুঝেই বুঝি ফের খড়্গহস্ত তিনি।
সোমবার রাতের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই একটি দৈনিকে সাক্ষাৎকারে রত্না বললেন, ‘এবার তৃণমূলে ফিরতে হলে মাথা নীচু করে ফিরতে হবে। রত্নাকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল করতে হবে।এখন সবাই দলে ফেরার জন্য লাইন দেবেন। ভোটের মুখে তো ওঁরা অনেক কটূক্তি করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যে কুৎসা করেছেন তাঁরা, আমার মনে হয় না, মমতা-অভিষেক এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাবেন। তবুও ওঁরা দলে ফিরতে চাইলে সেটা দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত। এতে আমার বলার কিছু নেই’।
উল্লেখ্য,তৃণমূলে ফেরার জল্পনা প্রসঙ্গে এর আগে বৈশাখী বলেছিলেন, ‘রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। আগামী দিনে কী করতে চলেছি,তা সকলেই জানতে পারবেন। শোভনবাবু একমাত্র নেতা, যিনি তৃণমূল ছড়ার পর দিনই BJP-তে যোগদান করেননি। তৃণমূল ছেড়েছিলেন আদর্শ-নীতির ভিত্তিতে। BJP-কে বেছেছিলেন। কিন্তু, সুষ্ঠু কাজ করার পরিবেশ পাননি, তাই সরে এসেছেন। শোভনবাবু সিদ্ধান্ত নেন নীতি আদর্শের ভিত্তিতে। শোভনবাবু আবেগের মানুষ। তাই তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতে সমর্থন করব। মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছি না।’