নিজস্ব সংবাদদাতা: দু’দিন ধরে সাধুবাবার আখড়ায় রাত কাটিয়েছে মেয়েটি। নিয়ম অনুসারে তৃতীয় দিনও থাকতে হবে। কিন্তু তৃতীয় দিন মেয়ে আর যেতে চায়না। রোগ প্রায় সেরে এসেছে, তৃতীয় দিন রাত কাটালেই পুরোপুরি সেরে যাবে তাই জোর করে বাবা মা। কিন্ত মেয়ে যেতে চায়না। শেষমেশ বাধ্য হয়েই মেয়ে জানায় যে, রাত জেগে যজ্ঞ করার নামে দু’রাত তাকে ধর্ষন করেছে ওই সাধু।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরিবারের অন্ধবিশ্বাস, মেয়ের মানসিক রোগ সারাতে পারবেন ‘সাধুবাবা’। আর সেই সুযোগ নিয়েই বছর সতেরোর এক কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক সাধুর বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার বিবেকানন্দপল্লীর ঘটনায় অভিযুক্ত সাধু পলাতক।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরিবার সুত্রে জানা গেছে , প্রায় আট বছর ধরে মানসিক রোগের শিকার বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা ১৭ বছরের এক কিশোরী। বহু চিকিৎসা করিয়েছেন কিশোরীর বাবা, মা। কিন্তু কিছুতেই সুস্থ হয়নি সে। শেষমেশ প্রতিবেশী নিখিল হালদারের মাধ্যমে ওই কিশোরীর অভিভাবকদের পরিচয় হয় বাংলাদেশ থেকে আসা এক সাধুর সঙ্গে। প্রতিবেশী তাঁদের পরামর্শ দেন যে ওই সাধু ঝাড়ফুঁক করে দিলেই মেয়ে ভাল হয়ে যাবে। প্রতিবেশীর কথায় ভরসা করে আর নিজেদের অন্ধবিশ্বাসের জোরে মানসিক রোগের শিকার ওই কিশোরীর বাবা-মা তাকে নিয়ে ওই সাধুর কাছে যান।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শেখর রায় ওরফে শেখর পাগল নামের ওই সাধু কিশোরীর বাবা মা’কে বলেন, তিন রাত্রি মেয়েকে তার কাছে পাঠাতে হবে। তিনি ঝাড়ফুঁক করে দিলেই তাঁদের মেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে। অন্ধবিশ্বাসী বাবা-মা সাধুর কথায় রাজি হয়ে যান। দু’রাত মেয়েকে ওই সাধুবাবার কাছে পাঠানও তাঁরা। তৃতীয় রাতে মেয়ে সেখানে যেতে আর রাজি হয়নি। বাবা-মা কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, পরপর দু’রাত তাঁদের অন্ধবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে ওই সাধু তাকে ধর্ষণ করেছে। ফাঁস হয়ে যায় ভণ্ড সাধুর কুকীর্তি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপর কিশোরীর বাবা-মা প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সাধুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সেই শিষ্য নিখিল হালদারের বাড়িতে যান। তাঁকে সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলা হয়। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে সাধুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন, স্ত্রীকে নিয়ে সাধু শেখর পাগল উধাও।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শিষ্য নিখিলের কাছ থেকেই ওই সাধু খবর পেয়ে গিয়েছিল যে তার ভণ্ডামি ধরে ফেলেছে সবাই। এরপর নিখিলকে ধরেই মারধর শুরু করেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে মহেশতলা থানার পুলিশ এসে নিখিলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নির্যাতিতা কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সাধুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সে যাতে না বাংলাদেশ পালাতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে।