ওয়েব ডেস্ক: সুশান্তের আত্মহত্যার পর কেটে গিয়েছে একমাস। এখনও নেটিজেনদের মনে দগদগে ঘা হয়ে রয়েছে সুশান্তের আত্মহত্যার ঘটনা। সুশান্তের আত্মহত্যার পর থেকেই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েন আলিয়া ভাট৷ সুশান্তকে যে তিনি একাবারেই পছন্দ করতেন না তা বলিউডের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যায়৷ সেকারণেই সুশান্তের আত্মহত্যায় অন্যান্যদের মতো আলিয়াকেও দায়ী করেছেন সুশান্তের অনুরাগীরা। এর জেরে এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে আলিয়ার ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার সংখ্যা। এমকি মিলছে ক্রমাগত ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি। এবার এর বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন আলিয়ার দিদি৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব বন্ধ না হলে, এবার সরাসরি আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে ভাট পরিবারের তরফে সাফ জানালেন আলিয়ার দিদি শাহিন ভাট।
অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের অন্দরের ‘নেপোটিজম’-নীতি নিয়ে সরগরম নেটদুনিয়া। শুধু নেপোটিজম নয়, সেই সাথে বি টাউনের অন্দরে প্রতিনিয়ত প্রভাবশালীদের হুমকি। ধীরে ধীরে এমন অনেক বিষয়ই উঠে আসছে। নেপোটিজম নিয়ে অভিযোগের তীর মূলত করণ জোহরের দিকে থাকলেও স্টার কিড হিসেবে নেটজনতার রোষের মুখে পড়তে হয়েছে আলিয়া ভাট, সোনম কাপুর-সহ অনেককেই৷ বিতর্ক এড়াতে ইতিমধ্যেই নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করেছেন সোনাক্ষী সিনহা।
তবে অন্য সকলের থেকে ভাট পরিবারের প্রতিই যেন নেটিজেনদের বেশি রোষ। আর হবে নাই বা কেন! সুশান্তে আত্মঘাতী হওয়ার পর থেকেই নেট দুনিয়ায় সুশান্তের বান্ধবী রিয়া ও মহেশ ভাটের পুরোনো বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ঘোরাফেরা করছে৷ যা দেখে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তাদের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল। ফলে সেই ছবিই বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তার রেশই গিয়ে পড়েছে আলিয়া ভাটের উপর। শুধু তাই নয়, বিগত একমাসে একাধিকবার ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি পেয়েছেন আলিয়া ও তাঁর দিদি শাহিন ভাট। ফলে এতদিন চুপ করে থাকলেও এবার এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেই স্থির করেছেন আলিয়া এবং শাহিন।
মহেশ ভাটের বড় মেয়ে শাহিন ভাট সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে বেশ কয়েকটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, সুশান্ত সিং রাজপুতের অনুরাগী হিসেবে দাবি করে কয়েকজন আলিয়া ভাটকে ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি দিয়েছে। ফলে বোনের এই অপমান আর মুখ বুজে সহ্য করবেন না দিদি শাহিন ভাট। বরং এধরণের মন্তব্য আর একবার এলে সোজাসুজি আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেই জানান দিদি শাহিন।
শাহিনের মন্তব্য, “এই পোস্টটা দেখে আপনি অবাক হতে পারেন, তবে আমি বিন্দুমাত্র অবাক নই! আমাদের দেশে যেখানে প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর একজন নারী ধর্ষিতা হন, সেখানে এরকম মানসিকতা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়! তাই সাবধান করে দিতে চাই, আপনি বা আপনাদের পরিচয় যাই হোক না কেন, এরপর আলিয়াকে ধর্ষণ কিংবা খুনের হুমকি দিলে কোনও রকম রেয়াত না করে সোজা আইনি পথে হাঁটব।”