নিজস্ব সংবাদদাতা: আমফান কেড়ে নিয়েছে সর্বস্ব। কেন্দ্র আর রাজ্যের মধ্যে চলছে বরাদ্দ নিয়ে তরজা আর তারই মধ্যে চলছে ত্রান নিয়ে নির্লজ্জ দলবাজি। অভিযোগ, ক্ষোভ বিক্ষোভ চলছিলই এবার নিঃস্ব রিক্ত মানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়ল ক্রোধ হয়ে। ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ির টাকা অন্যদের পাইয়ে দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগে বসিরহাটের আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। তাঁর বাড়ি ঘিরে চলল ভাঙচুর। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে র্যাফ নামাতে হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার মিনাখাঁ ব্লকের আটপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উচিলদহ গ্রামে আজ দুপুরে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরের টাকা বণ্টন নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অখিল মিশ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের টাকা অন্যকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রথমে তাঁর বাড়ি ঘেরাও করা হয়, তারপর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের টাকা প্রাপকদের তালিকায় যে নাম থাকা দরকার, তা না রেখে, নিজের পছন্দমতো নামের তালিকা তৈরি করেছেন। টাকাও দিয়ে স্বজনপোষণ করছেন বলে অভিযোগ। এর প্রতিবাদেই গ্রামবাসীরা তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির বাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর চালায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় হাড়োয়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। তারাই ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও অঞ্চল সভাপতি অখিল মিশ্রর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শুধুমাত্র সন্দেহের বশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে গ্রামবাসীরা। তাঁদের কাছে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ নেই বলেও দাবি অঞ্চল সভাপতির। সেইসঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই ঘর তৈরির টাকা পাবে।
আমফানে ত্রাণ বিলি নিয়ে বিরোধীদের তরফে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়েছিলেন, যেন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত না হন, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে।
বলেছিলেন, দলের কেউ নয়, ত্রাণ বিলি করবেন প্রশাসনিক কর্তারাই, এই নির্দেশও দিয়েছিলেন। কিন্তু সে শুধুই কথার কথা। সর্বত্রই ত্রান নিয়ে ক্ষোভ মাথা চাড়া দিচ্ছে। অভিযোগ উঠছে বেছে বেছে ত্রান দেওয়া চলছে আর প্রশাসনিক কর্তারা কাকে ত্রান দেবেন তা ঠিক করে দিচ্ছেন শাসকদলের নেতারাই।আর সেটা করতে গিয়েই চলছে স্বজন পোষন। মিনাখাঁতেও সেই একই জিনিস ঘটেছে।