নিজস্ব সংবাদদাতা: লড়াই দুরত্ব বজায় রাখার, সামজিক দুরত্ব বজায়ের। অনন্ত ১ মিটার দুরত্ব বজায় রেখেই পরাস্ত করতে হবে কোভিড ১৯ কে । গত কয়েকদিন ধরেই এই প্রচারই চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে সমগ্র ভারত জুড়ে। এই একই করোনা বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রচারে সামিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাও । স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতা প্রচার করা হচ্ছে।
রবিবার মেদিনীপুর শহরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে রণপা এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার এক অভিনব সচেতনতা প্রচার করা হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অম্লান কুসুম ঘোষের নেতৃত্ব সামনে রণপা শিল্পীদের নিয়ে বিশাল পুলিশ শহরে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতা প্রচার করেন। রন পা কার্যত এক মিটার বা তারও বেশি দুরত্বে রেখে হাঁটা হয়। তাই প্রতীকি হিসাবে বেছে নেওয়া হল বাংলার আদি এক পথ অতিক্রমের পদ্ধতি রন পা কেই।
সরকারের তরফে বার বার বলা হচ্ছে লকডাউন চলাকালীন বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। সরকার স্বাস্থ্য দপ্তর, পুলিশ- প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনেকেই ছুটির মেজাজে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছেন রাস্তায়। কদিন ধরেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে রাস্তায় বেরোনো মানুষকে ধরে কেন বেরিয়েছেন জিজ্ঞাসা বাদ করছে পুলিশ। রবিবারও মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড়, গান্ধীমোড় সহ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে লকডাউনের মধ্যে পথে বেরোনো মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ। বোঝানো হয় অকারণ বেরোনবেন না।
রন পা শিল্পীদের মতই এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা এলাকায় গ্রামে গ্রামে গান বাউল গেয়ে করোনা সচেতনতার প্রচার করেন বাউল শিল্পীরা। গানের মাধ্যমে বাঁচতে গেলে মানতে হবে সরকারি নির্দেশিকা, সাবান দিয়ে ধুতে হবে হাত, পরতে হবে মাস্ক ইত্যাদি বার্তা প্রচার করেন বাউল গানের মাধ্যমে। ইতিমধ্যেই করোনা যুদ্ধে তৃতীয় স্তরে পৌঁছে গেছে ভারত। গোষ্টি সংক্রমনের এই পর্বে তাই প্রচারকে আরও তুঙ্গে তুলতে মরিয়া জেলা প্রশাসন।