ওয়েব ডেস্ক : শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার খেরওয়ারা শহরে বিক্ষোভ, ভাঙচুরে হিংসার বলি হলেন কমপক্ষে ৫ জন। ভাঙচুর করা হয়েছে একশোরও বেশি বাড়িঘর। দুঙ্গারপুর জেলায় যানবাহন জ্বালিয়ে রাস্তায় অবরোধ শুরু করেন জনজাতি গোষ্ঠীর সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনার জেরে রাস্তায় নামে আধাসামরিক বাহিনী। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। এদিন ১,১৬৭টি অসংরক্ষিত শূন্যপদে তফসিলি জাতির প্রার্থীদের সরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে দুঙ্গারপুর জেলায় ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
সূত্রের খবর, শিক্ষকদের এই অবরোধ ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নেয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৬টি ট্রাক, ৫টি বাস, পুলিশের ৪টি গাড়ি, ৯টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ৯টি টেম্পো। শুক্রবার এই বিক্ষোভ এতটাই ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় যে তা ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যায়। এর জেরে বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে এক হাজার রাউন্ড রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ হলেও শনিবার ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৬টি গাড়িতে। এদিনও পুলিশের তরফে ফের রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এদিকে তখনকার মতো মিছিল ছত্রভঙ্গ হলেও বিক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয় শ্রীনাথ কলোনিতে। পরিস্থিতি ক্রমশ হিংসাত্মক রূপ নেয় যে সরকারের তরফে চারটি জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ওই ৪জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
এ দিকে দুঙ্গারপুরের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পার্শ্ববর্তী জেলা উদয়পুর, বাঁসওয়াড়া ও প্রতাপগড়ে। এর জেরে শনিবার রাত পর্যন্ত কাকরা ডুংরি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৮টি ট্রাক। এমনকি লুঠপাট করা হয় বেশ কিছু দোকানও৷ এই ঘটনার পর শনিবার রাতে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানান। জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।