ওয়েব ডেস্ক : দীর্ঘ জল্পনা কাটিয়ে শেষমেশ বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন। প্রথমে ১০-১৩% ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে শেষমেশ ৪০-৪৫% ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যেই রবিবার লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালুর বিষয়ে টুইট করেন রেলমন্ত্রী পিযূষ গোয়েল। যদিও বুধবার থেকে কোন ডিভিশনে কত ট্রেন চলবে, তা নিয়ে কিছুই স্পষ্ট করেননি তবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানালেন, আগামী বুধবার থেকে রাজ্যে ৬৯৬ টি লোকাল ট্রেন চলবে।
রবিবার সন্ধ্যায় তিনি একটি টুইটবার্তায় জানান, “১১ নভেম্বর অর্থাৎ বুধবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের শহরতলিতে ৬৯৬ টি ট্রেন চালাবে রেল। পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যাত্রীদের সুবিধা, স্বাচ্ছন্দ্যকর যাত্রা এবং মানুষের জন্য চলাচল সহজ হবে।”
এদিকে হাতে আর মাত্র দু’দিন সময়৷ তারপরই বুধবার থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। এর জেরে ইতিমধ্যেই জোরকদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রেল।তবে ইতিমধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে লোকাল ট্রেনের সময়সূচি প্রকাশ করা হলেও পূর্ব রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও সময়সূচিই প্রকাশ করা হয়নি। পাশাপাশি কতগুলি ট্রেন চালু করা হবে তাও এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। তবে জানা গিয়েছে, এতদিন যতগুলি ট্রেন চলত, তার ৪০-৪৫% ট্রেন চালাবে রেল। জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে ট্রেন চালুর আগে সোমবার রাজ্য সরকার এবং রেলের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে ফের একপ্রস্থ আলোচনার পর ট্রেনের সংখ্যা, সময়সূচী নির্দেশিকাও প্রকাশ করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে তৎপরতার সাথে কার্সেডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলিতে স্যানিটাইজেশনের কাজ চলছে। পাশাপাশি স্টেশনের বিভিন্ন চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ট্রেনের ভিতরে আসন, হাতলেও স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে। তবে ট্রেন চললেও পূর্ব রেলের তরফে জানা গিয়েছে, আপাতত ট্রেনের প্রতিটি দিকের মাঝের আসনে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। সেকারণে মাঝের আসনে ‘ক্রস’ করে দেওয়া হচ্ছে। লোকাল ট্রেনের তিনজনের আসনে বরাবরই চারজন করে বসেই যাতায়াত করে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব মেনে সুষ্ঠভাবে ট্রেন পরিষেবা পেতে হলে আগের নিয়ম ভুলে প্রতিটি আসনে চারজনের পরিবর্তে দু’জন করে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে।
তবে এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর কথা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় ট্রেন সংখ্যা অনেক কম। তারওপর ট্রেন চললে যাত্রীরা যে অন্যান্য পরিবহন ছেড়ে ট্রেনের দিকেই ঝুঁকবে সেটাই স্বাভাবিক। ফলে সর্বোচ্চ সীমা কতটা মানা সম্ভব হবে, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ধন্দ আছে। ফলে মেট্রোর ক্ষেত্রে যাত্রীর সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার পর যাত্রীরা তা মানলেও লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে তা আদেও মানা হবে কিনা তা নিয়েই যথেষ্ট চিন্তিত সংশ্লিষ্ট মহল।