নিজস্ব সংবাদদাতা: কোজাগরী পূর্নিমায় লক্ষ্মীর আরাধনায় তাল কাটল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকায়। জোড়া আগুনের কবলে কোথাও পুড়ল লক্ষী পুজোর প্যান্ডেল তো কোথাও পুড়লেন গৃহলক্ষী স্বয়ং। শস্য, সবজি এবং সোনার কারিগরদের বাড়বাড়ন্ত দাসপুর। সমৃদ্ধশালী সেই দাসপুরে দুর্গার চাইতেও পার্বতী কন্যার কদর বেশি। গৃহস্থের ঘরের পাশাপাশি লক্ষ্মীর সার্বজনীন আরাধনা জাঁক জমক করেই হয়ে থাকে প্রতিবছর। কিন্তু এবার বাধ সেধেছে করোনা।ভিন রাজ্য থেকে ফিরে বহু সোনার কারিগর ঘরে বসে। সবজি ও শস্যের বাজারও মন্দা। তারই মধ্যে কোনও মতে কোজাগরীর আরাধনা করছে কেউ কেউ। আর তারই মধ্যে জোড়া দুর্ঘটনা।
এদিন পুজো মন্ডপ পুড়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুরের গৌরা উত্তর গোবিন্দ নগরে। স্থানীয় লক্ষ্মী পুজো পুজো কমিটির পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন সম্ভবত প্রদীপের আগুনে থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। পুজো পর্ব চুকে যাওয়ার পর সবাই বাড়ি চলে গিয়েছিলেন রাতের দিকে মন্ডপ লাগোয়া বাসিন্দাদের কাছ থেকে তারা খবর পান স্থানীয়রা তাদের যে তাদের প্যান্ডেল দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন, দ্রুত স্থানীয়দের চেষ্টায় পুজো কমিটির সদস্যরা পুজো মণ্ডপের আগুন নেভায়। মন্ডপের ভেতরে পুজোর বেশ কিছু সরঞ্জাম পুড়ে যায়। শনিবার ফের নতুন করে জিনিসপত্র জোগাড় করে পুজোর আয়োজন করা হয়।
অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নবীন মানুয়া গ্রামে যেখানে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক গৃহবধূ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে শনিবার সাত সকালে নবীন মানুয়া গ্রামের বছর ৪৫ সন্ধ্যা চৌধুরী নামে এক মহিলা নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে নেয়। ঘর থেকে ধোঁয়া বেরুতে দেখে
স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে দেখেন ওই মহিলা জ্বলছেন। স্থানীয়রাই দ্রুত আগুন নিভিয়ে ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘাটাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। স্থানীয়রা জানায় ওই সময় বাড়িতে কেউ ছিল না মহিলা একাই ছিলেন বাড়িতে। কি কারণে এই আত্মহত্যার চেষ্টা তা খতিয়ে দেখছে দাসপুর থানার পুলিশ।