নিজস্ব সংবাদদাতা : বুধবার বিকেলে প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন, অবস্থানের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল বাঘাযতীনের একাংশ। সামনে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পৃথা বিশ্বাস । বৃহস্পতিবার সেই শিক্ষিকা পৃথাকে গ্রেপ্তার করল যাদবপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে থানায় ডেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবস্থান চলাকালীনই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ অবরোধের পর তা স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু সেখানেও আন্দোলনকারী শিক্ষকদের উপর অত্যাচার চলে বলে অভিযোগ। অবস্থান হঠাতে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন বর্ধমান ও নদিয়ার দুই শিক্ষক। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।বুধবার রাতেই তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তার করে যাদবপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর চারটে পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এরপর সকালেই আন্দোলনের নেত্রী পৃথা বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানায় ডাকার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবশ্য শুধুই সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলন নয়, রাত আড়াইটায় নিজের ফেসবুকেও বোমা ফাটিয়েছেন পৃথা। লিখেছেন পুলিশ কিভাবে মহিলা আন্দোলনকারিদের বাথরুম ব্যবহার করার সৌজন্য টুকু দেখায়নি। পৃথার সেই জ্বালাময়ী পোষ্ট ছিল এরকমই, ” রাত আড়াইটে। আবারো রাস্তায় শুয়ে।তফাত শুধু এবার যাদবপুর থানার সামনে,থানায় রয়েছেন সন্দীপদা সহ সহকর্মী, সহযোদ্ধারা।আরো অনেকেই আছেন লালবাজারে।স্বাধীন দেশের বৈধ নাগরিক,যোগ্যতা অনুযায়ী বেতন চেয়ে আন্দোলন করেছি,এই’ অপরাধে’ থানার দরজা বন্ধ হতে দেখলাম আজ,দেখলাম পার্কে বসে থাকার অপরাধে পুলিশি মদতে স্থানীয় নেতাদের দাদাগিরি,দিদিগিরিও দেখলাম।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
‘সংবেদনশীল প্রশাসন ‘ মহিলাদের বাথরুম টুকু ব্যবহার করতে দিতে নারাজ। অবাক হইনা আর,চোদ্দদিনের অনশনের মূল্যে পাওয়া অর্ডার যখন অস্বীকার করে সরকার, তখন অবাক হওয়ার ক্ষমতাও ফুরিয়ে যায়।তবে জেদ বাড়ে প্রতিদিন,একটু একটু করে চোয়াল শক্ত হয়,মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ওঠে আকাশে।আমরা আছি,আমরা থাকব,নিজেদের লড়াই নিজেরাই লড়ে নেব।”