ওয়েব ডেস্ক : করোনা প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে ইতিমধ্যেই এগিয়ে চলেছে ভারত সহ বিশ্বের ৫ টি দেশ। প্রতিষেধকের দৌড়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে সফল হয়ে এইমূহুর্তে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে৷ ২০২০ তেই সম্ভাব্য করোনাভাইরাস প্রতিষেধকের ৩০-৪০ লাখ ডোজ তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছে সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সেই সাথে এই প্রতিষেধকের দামও যে দেশবাসীর সাধ্যের মধ্যে রাখা হবে এমনটাই জানাল ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা।
এবিষয়ে ভারতের সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, বুস্টার-সহ টিকার দুটি ডোজেই কাজ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে এখনও দাম নিয়ে সেভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হয়নি। তবে যাতে দেশের প্রতিটি মানুষের সাধ্যের মধ্যে থাকে সেই পরিকল্পনাই করা হয়েছে। এবিষয়ে আদর পুনাওয়ালা বলেন, “আমরা একেবারে কম দামে এটা দেব। আমরা টিকার দাম ১,০০০ টাকা বা তার কম রাখা হবে। তবে আমার মতে, কোনও ভারতীয় বা অন্য দেশের কোনও মানুষকে কিনতে হবে না, কারণ সেদেশের সরকার তা কিনে নেবে এবং বিনামূল্যে দেবে।”
তবে দেধের এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে করোনার টিকা তৈরি করে মুনাফা করতে চায় না সিরাম, বরং করোনা যুদ্ধে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায় সেরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। আদর পুনাওয়ালার কথায়, “এটা অত্যন্ত সহজলভ্য হবে। আমরা সাধারণত একেবারেই মুনাফা করতে চাই না। করোনা সংকট এবং মহামারীর পর আরও কত বাণিজ্যিক দামে বাজারে পাওয়া যায়, তা দেখব আমরা।” তবে সেরামের তরফে আরো জানানো হয়েছে, ২০২১ এর প্রথম তিন মাসের মধ্যেইবতারা প্রায় ১০০ কোটি করোনার টিকা বানিয়ে ফেলতে পারবে৷
তার মধ্যে ৫০% অর্থাৎ ৫০ কোটি টিকা ভারতের জন্য বরাদ্দ থাকবে। বাকি ৫০ কোটি থাকবে অন্যান্যদের জন্য। তবে যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তবে আগামী বছর জুনের মধ্যেই বাজারে এসে যাবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় তৈরি প্রতিষেধক কোভিশিল্ড। তবে কবে হাতে পাবে এই প্রতিষেধক, কবেই বা এই মারণ ভাইরাসের কবল থেকে মুক্তি পাবে মানুষ, এখন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে দেশবাসী।