Homeএখন খবরচায়না আলোর সাথে পাঞ্জা লড়তে মাটির প্রদীপ নিয়েই তৈরি মালোপাড়া...

চায়না আলোর সাথে পাঞ্জা লড়তে মাটির প্রদীপ নিয়েই তৈরি মালোপাড়া , গুপ্তিপাড়া , কালনা

নিজস্বসংবাদদাতা , পুর্ব বর্ধমান :গোটা ভারত বর্ষ জুড়ে যখন বাজারে চায়না মোমবাতি ও টুনিবাল্পের রমরমা ঠিক সেই সময় দাঁড়িয়ে কালনার সাতগাছি গ্রামপঞ্চায়েতের মালোপাড়া গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা বিদেশী মোমবাতি ও টুনিবাল্পকে টেক্কা দিতে বদ্ধপরিকর। এখনকার সময়ে যে কোন আলোর উৎসব ও দীপাবলিকে কেন্দ্র করে বাজার মাতিয়েছে রংবেরঙ্গের বৈদ্যুতিক লাইট। যাকে আমরা এক কথায় টুনিবাল্প বলে থাকি। এই টুনিবাল্পের দাপটে প্রতিবছর মার খেয়েছে জেলার প্রদীপ শিল্পীরা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর তাই টুনিবাল্পের সঙ্গে পাল্লা দিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ২নং ব্লকের সাতগাছিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মালোপাড়ার টেরাকোটা শিল্পীরা। তাঁরা সাবেকী প্রদীপ বানানোর পাশাপাশি সাধারন মানুষদের নজর কারতে এবারে নতুন মডেলের প্রদীপ তৈরি করছেন। তাই আসে পাশের গুপ্তিপাড়া ও কালনা জুড়ে টেরাকোটার মৃৎ শিল্পীদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নাওয়া খাওয়া ভুলে এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে সকল সদস্য মিলে টেরাকোটার আধুনিক ডিজাইনের প্রদীপ বানিয়ে চলেছেন। সাধারনত এঁটেল মাটি দিয়েই এই প্রদীপ গুলি বানানো হয়। গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা স্থানীয় বিল থেকে মাটি কেটে রিক্সা ভ্যানে তা নিয়ে আসেন। এরপর তাতে জল মিশিয়ে মেখে আটা মাখার মত করতে হয়। সেই মাটিকে বিভিন্ন ডিজাইনের সাঁচে ফেলে হরেক রকম অত্যাধুনিক মাটির মুখোশ সহ ছোট থেকে বড় প্রদীপ তৈরি করা হয়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেগুলিকে একের পর এক জোড়া লাগিয়ে সুজজ্জিত প্রদীপের ঝাড় বা স্ট্যান্ড প্রদীপ ও পঞ্চ প্রদীপ তৈরি করা হয়। এবছর এই গ্রামের মৃৎ শিল্পীরা কয়েক হাজার এরকম প্রদীপ বানিয়েছেন। তা এখন রোদে শুকিয়ে আগুনে সযত্নে পুড়িয়ে বাজারে পৌঁছে দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। আজ তাঁদের প্রদীপ শুধু জেলার মধ্যেই সিমাবদ্ধ নেই,

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরই মধ্যে অন্যান্য জেলা সহ ভিন রাজ্য থেকে মালোপাড়ার মৃৎ শিল্পীদের কাছে একাধিক ডিজাইনের প্রদীপের অর্ডার এসে পৌঁছয়। আর তাই হাড়ি, সরা ও সাবেকী প্রদীপ বানানোর সঙ্গে সঙ্গে অত্যাধুনিক টেরাকোটার প্রদীপ বানাতে বেশি উৎসাহ দেখাছেন তাঁরা। এলাকার মৃৎ শিল্পীরা জানান, ছেলে সহ মেয়ে বাড়ির গৃহিণীরাও এবার অত্যাধুনিক টেরাকোটার প্রদীপ বানাতে সহযোগিতা করছেন ।

টেরাকোটা শিল্পী সুরোজ কুমার পাল বলেন, দূর্গা পুজোর পড়ে বাঙালি মেতে ওঠে দীপা বলির উৎসবে। তারিই প্রস্ততি চলছে বিভিন্ন মহলে । কালী মূর্তির পাশা পাশি দেওয়ালি পুতুল ও মাটির প্রদীপ। ও তুবড়ির খোল তৈরির কাজ চলছে জোড় কদমে । তবে দিনের পর দিন মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে গেলেও এবার  চাহিদা একটু বেশি আছে । তাই প্রতি বছরের মতো এবছরেও চলছে জোড় প্রস্ততি ।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাজারে টুনি বাল্পের যতই রমরমা থাকুক না কেন, দিন দিন এই টেরাকোটার প্রদীপের চাহিদা বেড়েই চলেছে। শুধু জেলা নয় ভিনরাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা এসে টেরাকোটার প্রদীপের অর্ডার দিয়ে যাচ্ছে। একটা টুনি বাল্প ক দিন চলবে? এই প্রদীপ ব্যবহারের পর যত্ন করে রাখলে তা বেশ কয়েক বছর চলে যাবে। বাড়ি থেকে প্রদীপ পাইকারের হাতে তুলে দেওয়ার পাশাপাশি আমরা কোলকাতা, আসানসোল, বর্ধমান, শিলিগুড়ি সহ ভিন রাজ্যের বিভিন্ন মেলাতে অংশ নিই। ডিজাইন অনুযায়ী প্রতিটি প্রদীপ ৩.. টাকা থেকে শুরু করে  ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এই টেরাকোটার প্রদীপ বানিয়ে বেশি লাভ পাওয়া যায় বলে আমরা বিভিন্ন ডিজাইনের টেরাকোটার প্রদীপ বানানোর বেশি জোর দিই। এই কাজ করে সচ্ছল ভাবে আমাদের সংসার চলে যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular