নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম দিবসের দিনেই শুভেন্দুর নামে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার ও নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা সোনাচুড়া এলাকায়। শুভেন্দু অধিকারীর নামে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় এদিন। অভিযোগের তির, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ও গ্রামবাসীদের একাংশের দিকে।
একসময় একসাথে পালন করা নন্দীগ্রাম দিবস আজ যেন দুপক্ষের কাছে লড়াইয়ের ময়দান হয়ে দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি থাকা দুই ব্যক্তিত্ব আজ পরস্পর বিরোধী। আর এই দিনকেই কেন্দ্র করেই রবিবারেও ছড়িয়ে পড়ল উত্তেজনা। শুভেন্দু অধিকারী সোনাচূড়ার শহীদ মিনারে পৌঁছানোর আগেই তার নামে বিশ্বাসঘাতক পোস্টার লাগিয়ে দিল তৃণমূলের একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। পাল্টা ব্রাত্য বসুকে “গো ব্যাক” স্লোগান দেওয়া হয় স্থানীয় বিজেপি সমর্থকদের পক্ষ থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পূর্ব মেদিনীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় উপস্থিত রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর থানার জেলাশাসকের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি কড়া নজরদারিতে রাখতে।
এদিন তৃণমূলের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভাঙ্গাবেড়িয়ায় শহিদ বেদিতে এদিন মাল্যদান করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসু, দোলা সেন । ব্রাত্য বসু বলেন, “আজকের দিনটা ঐতিহাসিক দিন, রাজনৈতিক দিন, উত্তেজনা কখনই কাম্য নয়। শুভেন্দু অধিকারী সেদিনের আন্দোলনে ছিলেন তিনি শোক পালন করতেই পারেন কিন্তু বিজেপি তো কোনওদিনই এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিল না। তারা জোর করে সামিল হতে চাইছে।” এদিন তৃণমূলের নন্দীগ্রাম দিবস উদযাপনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ‘নন্দীগ্রামের মা’ ফিরোজা বিবি।
এককালে নন্দীগ্রাম দিবস ধুমধাম সহকারে পালন করতেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারী এখন পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তিনি। অন্যদিকে এই নন্দীগ্রাম বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতে সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী রয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিক ভাবেই স্বাভাবিক ভাবেই নন্দীগ্রামের লড়াই এখন কার্যত পাখির চোখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকলের চোখ এদিকেই আটকে।