নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার রাতে সন্দেশখালিতে আক্রান্ত গুলিবিদ্ধ ভিলেজ পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে শনিবার রাতেই । ওই দিন পুলিশকে ঘিরে ফেলে গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। গুলিবিদ্ধ হন পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সিভিক ভলান্টিয়ার। ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দু’টি বাইক। এই দুস্কৃতি দলটির মাথায় ছিল স্থানীয় এক তৃনমূল নেতা এমনটাই জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। শুক্রবার রাতে ওই তৃনমূল নেতা সমেত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ধৃত নেতা হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী কেদার সর্দার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গোটা ঘটনায় এরাজ্যে আরও একবার দুস্কৃতি শাসক যোগ সামনে চলে এল। বিরোধিরা দাবি করে থাকেন মূখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে এক দুষ্কৃতিকে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনে এরাজ্যের দুস্কৃতিদের মাথায় তুলেছিলেন মমতা ব্যানার্জী তারপর একের পর এক থানা আক্রমন, ভাঙচুর, দুষ্কৃতিদের তাণ্ডবে টেবিলের তলায় লুকোতে দেখা গেছে পুলিশকে। এরপর দুস্কৃতকারীদের গুলিতে পুলিশ খুনের ঘটনাও ঘটল । অবশ্য এর আগেও কলকাতার হরিমোহন ঘোষ কলেজের সামনে পুলিশ খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশকে ঘিরে ধরে এই ভাবে গুলি করে খুন করা নজির বিহীন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কালীপুজো উপলক্ষ্যে বৌঠাকুরন এলাকায় জুয়ার দখলদারি ও মহিলাদের শ্লীলতাহানির বিষয় নিয়েই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই তৃনমূল নেতা এলাকার প্রধান দিলীপ মল্লিক ও কেদার সর্দার। দিলীপ মল্লিকের গোষ্ঠির একজনের পেটে ভাঙা বোতল ঢুকিয়ে দেয় কেদারের লোকজন। বিনোদ হাউলি নামে এক তৃণমূল কর্মীর পেটে ছুরি চালায় কেদারের লোকেরা। গোলমাল থামাতে রাত ১১টা নাগাদ ৪টি বাইক নিয়ে নৌকোয় কলাগাছি নদী পেরিয়ে পোলপাড়ায় পৌঁছয় আট জন পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপর তারা নদিঘাটে গিয়ে নৌকা করে পালাতে চেয়েছিল। ওই সময় চলে আসে পুলিশ। এরপরই পুলিশকে ঘিরে ফেলে আক্রমন চালায় কেদারের দলবল। আহত হন সন্দেশখালি থানার সাব ইন্সপেক্টর অরিন্দম হালদার, ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতি (২৮), সিভিক ভলান্টিয়ার বাবুসোনা সিংহকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পরে পাঠানো হয় কলকাতার একটি নার্সিংহোমে। শনিবার সন্ধ্যায় মারা যান বিশ্বজিৎ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেদার এলাকার দাগি দুস্কৃতি এবং একাধিক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে কয়েকবার খুনের চেষ্টা করেছিল সে। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করাও হয়। কিন্তু গ্রেপ্তার করেনি তাকে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘দুষ্কৃতীরা যে দলেরই হোক, পুলিশকে বলেছি, কড়া ব্যবস্থা নিতে।’’ সে তো হল কিন্ত এতদিন গ্রেপ্তার হয়নি কেন কেদার? তার জবাব নেই শাসকদলের কাছে।পরে কেদার ও লাল্টু সর্দার নামে দু’জনকে শনিবার গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। সম্পর্কে মামা ভাগনা এই দুজনকেই দশ দিন পুলিশি হেফাজত দিয়েছেন বিচারক।