Homeএখন খবরজামিয়া মিলিয়ার লাইব্রেরীতে পড়ুয়াদের ওপর মুখে কাপড় বেঁধে দিল্লি পুলিশের এলো পাথাড়ি...

জামিয়া মিলিয়ার লাইব্রেরীতে পড়ুয়াদের ওপর মুখে কাপড় বেঁধে দিল্লি পুলিশের এলো পাথাড়ি লাঠি চালানোর ভিডিও সামনে আসতেই উত্তপ্ত দেশ

মুখে কাপড় বেঁধে সেদিন এভাবেই আছড়ে পড়ে পুলিশ 

নিজস্ব সংবাদদাতা: সন্ত্রাসবাদীদের মুখে কাপড় বাঁধা পুলিশের। নিজের চেহারা আড়াল করে লাইব্রেরীতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের ওপর নির্বিচার লাঠি চালাচ্ছে পুলিশ!  মাত্র ৫৯সেকেন্ডের একটা ভিডিও সামনে আসতেই বে-আব্রু হয়ে গেল দিল্লি পুলিশের নক্কারজনক চেহারাটা। অমিত শাহের অঙ্গুলি হেলনে চলা    দু’মাস আগে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্বিবিদ্যালয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে যেভাবে একতরফা তাণ্ডব চালিয়েছে তাতেই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল যে বিজেপি তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ দেশের উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠান গুলিকে কি পরিমান অশ্রদ্ধার চোখে দেখে থাকে।  দেখা গেল দিল্লি পুলিশকে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় ৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োটি প্রকাশ করা হয়েছে। লাইব্রেরির সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে সেটি বার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে মুখে কাপড় বেঁধে পুলিশ পড়ুয়াদের লাঠি পেটা করছে । শুধু মারধরই নয়, লাঠি উঁচিয়ে পড়ুয়াদের শাসানিও দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘‘এই সিসিটিভি ফুটেজ পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নৃশংসতার প্রমাণ। এতে প্রমাণিত হয়, কীভাবে রাষ্ট্রের পোষা সন্ত্রাসবাদীরা লাইব্রেরিতে ঢুকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়াদের উপর নৃশংস অত্যাচার চালিয়েছে।’’
ভিডিয়োটি সামনে আসার পর নতুন করে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের অপরাধ দমন শাখা জামিয়া কাণ্ডের তদন্ত করছে। ভিডিয়োটি  পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ভিডিয়োটি সামনে আসার পর দিল্লি পুলিশের নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। টুইটারে প্রিয়ঙ্কা লেখেন, ‘‘দেখুন দিল্লি পুলিশ কীভাবে পড়ুয়াদের মারধর করছে। একজন হাতে বই তুলে দেখাচ্ছে, তার পরেও তার উপর এলোপাথাড়ি লাঠি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দিল্লি পুলিশের আধিকারিকরা মিথ্যা বলেছিলেন যে, লাইব্রেরিতে ঢুকে কাউকে মারধর করেননি ওঁরা। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পরও জামিয়ার ঘটনায় কারোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হলেই, এই সরকারের অভিসন্ধি সকলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে।’


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন গত ১৫ ডিসেম্বর তুমুল বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দক্ষিণ দিল্লির জামিয়া এবং ওখলা এলাকা। শতাধিক মোটর বাইক, অন্তত তিনটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশ গেলে তাদের সঙ্গেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই বিক্ষোভের আঁচ কমতেই জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পডু়য়াদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ করেন, শুধু লাঠিপেটা করাই নয়, গুলিও চালিয়েছিল পুলিশ। লাইব্রেরিতে ঢুকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে এসেছিল দিল্লি পুলিশ।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গুলি চালানোর কথাও শুরুতে মানতে চায়নি তারা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় এক পুলিশ অফিসারকে গুলি চালাতে দেখা গেলে, শেষমেশ অভিযোগ মেনে নেয় দিল্লি পুলিশ। বলা হয়, যে ভাবে ঘিরে ধরে পাথর ছোড়া হচ্ছিল তাঁদের দিকে, তাতে গুলি না-ছুড়ে উপায় ছিল না। তবে বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি ছোড়া হয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ লাখে লাখে শেয়ার হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে আসমুদ্র হিমাচলের ক্যাম্পাস গুলিতে। নতুন করে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

RELATED ARTICLES

Most Popular