ওয়েব ডেস্ক : পুলিশ আর তৃনমূল মিলে মাওবাদীদের সঙ্গে মিলে জঙ্গলমহলের বিজেপি কর্মীদের খুন করার পরিকল্পনা করছে। শনিবার ঝাড়গ্রামে বিজেপির বিক্ষোভ ডেপুটেশন ও অবস্থান-বিক্ষোভ এক কর্মসূচিতে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। রাজ্যজুড়ে শাসক দলের সন্ত্রাস, কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে জেলাশাসকের দফতরে শনিবার ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে ডেপুটেশন ও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়। এদিনের কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ।
এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির পার্টি অফিস থেকে বিশাল মিছিল শুরু হয়। ঝাড়গ্রাম শহরের মেন রাস্তা দিয়ে সেই মিছিল জেলাশাসকের অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এদিকে মিছিল ঝাড়গ্রাম শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড় পৌঁছতেই ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশাল ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেওয়া হয়। এমনকি ডেপুটেশন দেওয়ার জন্য বিজেপি কর্মীদের জেলা শাসকের অফিসেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তবে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা গিয়েছে।
জেলা শাসকের অফিসে ঢুকতে না পেরে এরপর ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথার মোড়ে সায়ন্তন বসুর নেতৃত্বে বিজেপির নেতারা একে কে বক্তব্য রাখেন। এদিনের মিছিলে সায়ন্তন বসুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম এর বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রাম এবং ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় সৎপতি ও জেলা সাধারণ সম্পাদক অবনী ঘোষ। তবে বিজেপি নেতাদের তরফে দীর্ঘক্ষণ বক্তব্য রাখার পর অবশেষে জেলাশাসককে ডেপুটেশন জমা না দিয়েই ফিরে যায় সায়ন্তন বসু সহ বিজেপি কর্মীরা।
এদিন সায়ন্তন বসু বলেন, “আমাদের কাছে খবর আছে এখানকার তৃণমূলের পুলিশ-প্রশাসন মাওবাদীদের সঙ্গে মিলে আমাদের এখানকার বিজেপির কর্মীদের হত্যা করার পরিকল্পনা করছে৷ তৃণমূলের উসকানিতে পুলিশ ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে চাইছে। পুলিশ প্রশাসন মনে করে যে তারা বিজেপি নেতাদের ফোন ট্যাপ করে বাহাদুরি কাজ করছে। আমি তৃণমূল এবং পুলিশদের বলতে চাই আপনারা যদি বিজেপি নেতাদের ফোন ট্যাপ করেন বিজেপির ক্ষমতা আছে আপনাদের ফোন ট্যাপ করার।”
শনিবার রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, এমপি ফান্ডে টাকা থাকা সত্ত্বেও সে টাকা উন্নয়নের কাজে লাগাচ্ছেন না জেলাশাসক। এর জেরে এলাকার সাধারণ মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন৷ এমনকি ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রাম এলাকার উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র থেকে সাংসদ তহবিলে যে টাকা পেয়েছেন সেই টাকাও খরচ করছেন না জেলাশাসক। এদিন জেলা শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সায়ন্তন বসু বলেন, “এখানকার বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রাম জেলা শাসকের কাছে এলাকার উন্নয়নের জন্য টাকা দিয়েছে। জেলা শাসকের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন , এখনো সেই টাকার ব্যবস্থা হলো না কেন? এটা তৃণমূলের টাকা না এটা নরেন্দ্র মোদী পাঠিয়েছে কুনার হেমব্রাম এর হাত দিয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য।” পাশাপাশি এদিনের কর্মসূচিতে সায়ন্তন বসু স্থানীয় মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের বিল মুকুব করা হবে৷