নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানা এলাকায় বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল গ্রাম। শনিবার রাতে সাঙাড় গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য রাজনৈতিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পিংলা এলাকা।পিংলা বিধানসভা যেমন জেলার একমাত্র মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের এলাকা তেমনই বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী অন্তরা ভট্টাচার্যর গ্রামও এই পিংলা থানার অধীনেই। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দাপটের কাছে তৃণমূল কোনঠাসা হয়েছে। বিজেপি শক্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। ঘটনার পরেই এলাকায় ছুটে যায় পুলিশের এক বিশাল বাহিনী।
তৃণমূলের অভিযোগ, শনিবার রাতে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সাঙাড় এলাকায় আমফান দুর্গতদের তার্পোলিন বিলি করেন। তা নিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। রাতেই কয়েকজন বিজেপি কর্মী লাঠি, লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিমল সিং নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর মহাদেব দে ও বিষ্ণুপদ সিং নামে আরও দুই তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলা চলে। গুরুতর আহত হন তাঁরা। গুরুতর ওই দুই ব্যাক্তিকে প্রথমে ডেবরা সুপারস্পেশালিটি হসপিতালে ভর্তি করা হয় অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় একজনকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে হসপিটালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অন্যদিকে বিজেপির অন্তরা ভট্টাচার্য্য “এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা ।নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দোষ আমাদের ওপর চাপাচ্ছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, তিনি আরো বলেন যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে আদতে সেটি একটি মদের ঠেক। পুলিশকে বারংবার জানিয়েও ওই ঠেক বন্ধ করা যায়নি। গ্রামবাসীরা প্রশাসনকে বহুবার আবেদন করেছে ওই অবৈধ মদের দোকান টি সরানোর জন্য কিন্তু পুলিশ হস্তক্ষেপ করেননি, গতকাল রাতে ওরাই মদ্যপ অবস্থায় নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।”
স্থানীয় সুত্র যদিও জানাচ্ছে, ওই বাড়িতে একটি মদের ঠেক রয়েছে। মন্ত্রী তার্পোলিন বিলি করে চলে যায়। বিজেপির সমর্থকরা অভিযোগ করে বেছে বেছে তৃণমূল সমর্থকদেরই তার্পোলিন বিলি করা হয়েছে। রাতে এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। মদের ঠেকেও সেই আলোচনা শুরু হয় যা ক্রমে বাদানুবাদ ও বচসা থেকে লাঠালাঠিতে পৌছায়। ঘটনার খবর পেয়েই পিংলা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং বিজেপির দুই কর্মীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে তাঁদের মধ্যথেকেই পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।