Homeএখন খবরপশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ধর্ষনের শিকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরী! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত যুবক

পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ধর্ষনের শিকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কিশোরী! গ্রেপ্তার অভিযুক্ত যুবক

শশাঙ্ক প্রধান: বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগ নিয়ে ফাঁকা বাড়িতে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে ধর্ষন করার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওই নাবালিকা কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে। রবিবার রাতের এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার মালিগ্রাম নামক স্থানে। খবর পেয়ে রাতেই যুবককে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি ওই থানা এলাকারই ৫কিলোমিটার দুরে একটি গ্রামে বলে জানা গেছে। ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার পাশাপাশি অভিযুক্ত যুবককে মেদিনীপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত যুবকের নাম শ্রীমন্ত দাস। ২১বছরের ওই যুবকের বাড়ি কালিকাকুন্ডু গ্রামে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে। নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা একজন ফুলচাষি। সামান্য কিছু জমিতে ফুলের চাষ করেন তিনি। রাতে তারই বাড়ি থেকে ফুল সংগ্ৰহ করত ৫কিলোমিটার দূরের গ্রাম কালিকাকুন্ডুর ওই যুবক। ফুল সংগ্ৰহ করার পর ওই যুবক তাবিক্রি করত পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। এটাই ওই যুবকের পেশা।

সাধারণ ভাবে সন্ধ্যার মুখে নিজেদের জমি থেকে ফুল সংগ্ৰহ করত পরিবারটি এরপর রাতে এসে নিয়ে যেত ওই যুবক। ঘটনাক্রমে রবিবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা-মা দুজনেই আত্মীয় বাড়ি গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল ওই কিশোরী এবং তার নাবালক ভাই। রাত ১২টা নাগাদ বাইকে করে ওই যুবক আসে ফুল নেওয়ার নাম করে। কিশোরীর ভাই তখন ঘুমিয়ে পড়েছিল। পরিচিত হওয়ার সুবাদে বাড়ির দরজা খুলে দেয় কিশোরী। তারপরই এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে আগে নিজেই বাজারে গিয়ে ফুল বিক্রী করত ওই ছাত্রীর বাবা। লকডাউনে গনপরিবহন বিশেষ করে ট্রেন বন্ধ থাকায় বিক্রিবাটা বন্ধ হয়ে যায়। তখনই ওই যুবকের সাথে আলাপ হয় পরিবারের। তখন থেকেই যুবক ফুল নিতে আসত। যুবকের কাছে পরিবারের ফোন নম্বর ছিল। যুবক ফোন করে খবর নিত ফুল উঠেছে কিনা। বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদেই কিশোরীর ওপর নজর পড়ে যুবকের। কখনও এই পরিবারও ফুল তোলার পর যুবককে ফোন করত। মাঝেমধ্যে সেই ফোন ধরত কিশোরী। টুকটাক কথাবার্তা হত। ফলে যুবকের আকর্ষণ বাড়তেই থাকে। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ‘ মাঝে মধ্যে ওই কিশোরী টিউশন পড়তে যাওয়ার পথেও যুবক তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। বলত বিয়ে করবে কিন্তু কিশোরী তা মানতে চায়নি। রবিবার সন্ধ্যাবেলায় ওই যুবক ফোন করে বাড়িতে। বাবা-মা যেহেতু বাইরে গেছে তাই ওই ফোনটি বাড়িতেই রাখা ছিল।কিশোরীর কাছে যুবক জানতে পারে যে বাড়িতে বাবা-মা নেই। এরপরই যুবক আসে এবং কিশোরীকে জোর করে ধর্ষণ করে বাইক চালিয়ে চলে যায়।”

ঘটনা ঘটার পরই কিশোরী একটু দুরে থাকা নিজের দাদু এবং কাকাদের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেয় কিশোরীর বাবা-মাকে। আত্মীয় বাড়ি যথেষ্ট দুরে থাকায় বাবা-মা তখুনি আসতে পারেনি কিন্তু পরামর্শ দেন থানায় খবর দেওয়ার। পুলিশ খবর পাওয়া মাত্রই হানা দেয় যুবকের বাড়িতে এবং গ্রেপ্তার করে তাকে। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ পৌঁছে যায় কিশোরীর বাবা-মা। লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় শ্রীমন্তকে।

RELATED ARTICLES

Most Popular