নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সেই কেশিয়াড়ি ব্লকের বেশ কিছু বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিলেন। জেলা তৃনমূল সদর দপ্তরে বিজেপির এক ব্লক শীর্ষ নেতা ছাড়াও একজন উপপ্রধান, চারজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ছাড়াও এক বুথ সভাপতি সহ সাত জন স্থানীয় নেতা ও ১০০জন কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিন রাতে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতির হাত থেকে পতাকা তুলে নিয়েছেন ব্লকের দক্ষিন মণ্ডলের সাধারন সম্পাদকর গয়াপ্রসাদ পালুই, বাগাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শুকরাম সিং, তিন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সীতা প্রামানিক, চন্দনা রাউত, পাখি রাউত । এছাড়াও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন খড়িপাড়া বুথ সভাপতি দয়াল রাউত, নিত্যানন্দ রাউত, প্রবীর রাউত, সুদীপ ঘোষ , রাজেশ ঘোষ, বল্লভ দণ্ডপাট, গুরুপদ সিং সহ অনেকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দলত্যাগী গয়াপ্রসাদ পালুই বলেন, ”আমরা বিজেপির হয়ে মানু্ষের উন্নয়ন ও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম কিন্তু দলে সেই সু্যোগ ও পরিবেশ নেই বরং মানু্ষের কাজ করতে চেয়ে পদে পদে দলে অসম্মানিত হয়েছি। তাই দল ছাড়তে বাধ্য হলাম। আমরা তৃণমূলের হয়ে মানু্ষের জন্য কাজ করতে চাই।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস বলেন, ” ভালই হল ! এরা অটো ক্লিনিং পদ্ধতিতে দলের বাইরে চলে গেল। বিজেপির আবর্জনা কোনও দলে গেলে আমাদের কিছু বলার নেই।”
দাস বলেন , এঁদের সরানোর প্রক্রিয়া দলে শুরু হয়ে গিয়েছিল। ওই এলাকার মহিলা প্রধানকে ব্ল্যাকমেল করে উন্নয়নের কাটমানি চাইতেন এঁরা। বিজেপি করবেন আর কাটমানি নেবেন তা হয়না। যেখানে কাটমানি আছে সেখানে গেছে। কিছু দুষ্কৃতি নিয়ে এলাকায় এরা একসময় গন্ডগোল করেছিল। আমরা হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তৃনমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ” এরপর দেখবেন প্রতিদিনই কোনও না কোনও বিজেপির নেতা কর্মী আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন।এঁরা দিলীপ ঘোষের আচরনে ক্ষুব্ধ হয়েই মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের অংশীদার হতে চাইছে। তাই এখন এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটবে। ”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কেশিয়াড়ি বিজেপির এক নেতার কথায়, ” এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আবার নতুন করে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে চাইছে। বিজেপির সংখ্যাধিক্য থাকায় পঞ্চায়েত সমিতি গড়তে দেওয়া হয়নি। তিনবার বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নিয়েও তৃণমূল তা করতে পারেনি কারন বিজেপিকে ভাঙানো যায়নি। আবার সেই পুরোনো খেলা শুরু হয়েছে কারন হাইকোর্টের নির্দেশে শীঘ্রই বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।”