নিজস্ব সংবাদদাতা: বিপদ ঘন্টা বাজিয়ে দিয়েছেন WHO প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘‘ডেল্টা স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ১১১টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে, অচিরেই এটি প্রধান করোনা স্ট্রেন হয়ে উঠবে, যদি না ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়ে থাকে।’’ ভারত সরকারের পাশাপাশি বিষয়টি রীতিমত স্পর্শকাতর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই তৃতীয় ঢেউয়ের হাত থেকে শিশুদের রক্ষা করতে একদিকে যেমন মায়েদের টিকাকরন শুরু হয়েছে তেমনই জেলা শহর গুলিতে শুরু হয়েছে শিশুদের জন্য কোভিড ওয়ার্ড। আর সেই বিশেষ কোভিড ওয়ার্ডগুলিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা করা হচ্ছে যা পাইপলাইন বাহিত হয়ে পৌঁছে যাবে প্রতিটি শিশুশয্যার কাছে। যাতে অক্সিজেনের অভাব না হয় অসুস্থ শিশুদের।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সেরকমই একটি শিশু করোনা ওয়ার্ডে অক্সিজেন সরবরাহের পাইপ লাইনের সময় বেশকিছু মূল্যবান পাইপ সহ একাধিক সরঞ্জাম চুরি হয়ে গেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারন এই ঘটনায় কাজের গতির বিঘ্ন ঘটায় বিলম্বিত হতে পারে শিশুদের জন্য এই জীবনদায়ী প্রকল্পটি। পুরোপুরি তামায় নির্মিত এই বহুমূল্য পাইপগুলি কিভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে একটি অভিযোগ দায়ের করে মামলা শুরু করেছে। শুরু হয়েছে তদন্ত যদিও এখনও অবধি এই রহস্যের ঘোমটা উন্মোচন হয়নি, মেলেনি চুরি যাওয়া কোনো সরঞ্জাম। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক সিসি টিভি ক্যামেরা। পুলিশ খতিয়ে দেখছে সেসব।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের মধ্যেই একটি তরল অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসিয়ে সেখান থেকে তামার পাইপ লাইন মারফৎ তা সরবরাহ করা হবে কোভিড এবং সঙ্কটাপন্নদের জন্য বরাদ্দ ওয়ার্ডগুলিতে। যার মধ্যে শিশুদের জন্য পরিকল্পিত করোনা ওয়ার্ডেও যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। দ্রুতগতিতেই চলছে সেই কাজ কিন্তু তারই মধ্যে এই ঘটনা অনেকটাই সময় নষ্ট করে দিয়েছে।