নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার কাকভোরে উঠোনে কাকেদের চিল চিৎকারে ছুটে এসেছিলেন বড়মোহনপুরের মাইতি পরিবারের সদস্য চয়ন মাইতি। দেখতে পান একটি প্রমান মাপের পেঁচা পড়ে রয়েছে উঠোনের ওপর। ইতিমধ্যেই কাক আর অন্যপাখির আক্রমনে বিদ্ধস্ত ও রক্তাক্ত পেঁচাটি।ঠোঁটের উপরের দিকে সামান্য আঘাত রয়েছে। ডানাটিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওড়ার ক্ষমতা নেই। পরিবারের অন্য সদস্যদের সহায়তায় সেটিকে ধরে সঙ্গে সঙ্গে খাঁচা বন্দি করে মাইতি পরিবার।এরপর খবর দেওয়া হয় বেলদা কোন বিভাগে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক গ্রাম এই বড়মোহনপুরের সুশীল মাইতির পরিবারে এর আগেও আহত পেঁচা উদ্ধার হয়েছিল। সুশীল বাবুর ছেলে চায়ন মাইতি জানান -“আমাদের বাড়িতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার পেঁচা উদ্ধার হলো।গতবছর ২রা জানুয়ারি এইরকম একটি পেঁচা উদ্ধার হয়েছিল।কাকতালীয়ভাবে তার আগের দিন আমার ভাইয়ের একটি মেয়ে হয়েছিল।তারপর বাড়িতে পেঁচা আশায়, বাড়িতে শুভ ভেবে আমরা খুব আনন্দ পেয়েছিলাম।বছর গড়াতেই আবার দ্বিতীয়বার এই পেঁচা উদ্ধার হলো।গতবারের মতো এবারও আমরা বলদা বন বিভাগে এই পেঁচাটিকে দিয়ে দিয়েছি।বেলদা বনবিভাগের ফরেস্ট গার্ড কিঙ্কর চন্দ ও দেবাশীষ রাউত দুইজন কর্মচারী মিলে ওই পেঁচাটিকে খাঁচা বন্দি করে নিয়ে যান।”
বনকর্মী কিংকর চন্দ্র জানান,পেঁচাটি পূর্ণবয়স্ক লক্ষ্মীপেঁচা।ঠোঁটের দিকে আঘাত লাগার কারণে সামান্য অসুস্থ রয়েছে।দিনের আলোতে পেঁচারা ঠিকঠাক দেখতে পায় না। ওই দিনের আলোতে হয়তো কোন কাক একে আঘাত করেছে।আমরা বর্তমানে পেঁচা টিকে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেবো।