নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসে পরপর তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার পর শনিবার রাতে ফের জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় করোনা আক্রান্ত এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা।
এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন ওঠে। এই নিয়ে চলতি মাসে চারজন রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পালিয়ে যাওয়া রোগীদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও ঘটেছে বলে জানা গেছে। গ্রিন জলপাইগুড়ি নামে শহরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারন সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, হাসপাতালের দেওয়াল টপকে এক রোগী পালিয়ে গিয়েছিল। যদিও তাকে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীরা আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে ছুটে এসে আমরা তাকে উদ্ধার করে ফের কোভিড হাসপাতালে দিয়ে আসি।
ঘন ঘন রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই নিয়ে চলতি মাসে ৪ জন করোনা আক্রান্ত পালিয়েছে। যার মধ্যে ৩ জনকেই আমরা উদ্ধার করেছি। এরা প্রত্যেকেই আমাদের কাছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন তাদের খাওয়া দাওয়া ঠিকভাবে দেওয়া হয়না। এমনকি তাদের মারধর পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে তিনি উপযুক্ত তদন্তের দাবি তুলেছেন। বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তর হাসপাতালে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
মেইন গেটে পুলিশি প্রহরা রয়েছে। হাসপাতালের ভেতরেও বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন। এরপরও কিভাবে রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।