নিউজ ডেস্ক: চার মাসের মধ্যেই ফের একই স্থানে একই ঘটনায় প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। শিলিগুড়িতে ষাঁড়ের ধাক্কায় মৃত্যু হল বছর ৪০ এর সজল সরকারের।শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উধম সিং সরণীর বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ির প্রাণকেন্দ্র বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় বন্ধুর স্কুটিতে করে তেল ভরতে যাচ্ছিলেন তিনি।সেইসময় একটি ষাঁড় তাদের স্কুটিতে ধাক্কা মারে।
এরপর গাড়ি সমেত রাস্তায় পড়ে যান তারা।সজল বাবু মাথায় গুরুতর আঘাত পান।ঘটনার পর দু’জনকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সজল বাবুর বন্ধুকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে সজল বাবুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রথমে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোম তারপর সেখান থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যাওয়া হয়।চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয় সজল সরকারের।
শণিবার তার দেহ নিয়ে আসা হয় শিলিগুড়িতে।শোকস্তব্ধ তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে এই ঘটনার পরই প্রশাসনের কাছে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো পশু নিয়ন্ত্রণে আনার আবেদন করেছেন সজল বাবুর পরিবার।উল্লেখ্য,লকডাউনের সময়
শিলিগুড়ি কলেজ পাড়া সহ বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় বেড়েছে ষাঁড়ের দৌড়াত্ব।কালো রং-এর একটি ষাঁড় এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছে।
এই ষাঁড়টি চার মাস আগে শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী নৃপেন ভাওয়ালকেও ধাক্কা দিয়েছিল। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্ক এলাকায় একটি ওষুধের দোকান চালাতেন তিনি। দোকান থেকে বাড়ির ফেরার পথে একটি ষাঁড় গুঁতো মারে নৃপেনকে। গুরুতর আহত হন ওই ওষুধ ব্যবসায়ী। এরপর যথারীতি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা আর হয়নি। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার তার মৃত্যু হয়।
পরপর দুটি ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এই এলাকা দিয়ে চলাফেরা করতে ভয় পাচ্ছেন শহরবাসীরা।অবিলম্বে ষাঁড়টিকে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।