বিশ্বজিৎ দাস: দলমত নির্বিশেষে একের পর এক প্রার্থীর শরীরে করোনা ভাইরাসে থাবা। বাংলা নববর্ষের শুরুতেই দুঃসংবাদ দিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা নিজেই জানালেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়াও এছাড়া করোনায় আক্রান্ত গোয়ালপোখরের তৃণমূল প্রার্থী গোলাম রব্বানি। আপাতত হোম আইসোলেশনেই আছেন তিনি। অন্যদিকে জঙ্গীপুরের আরএসপি প্রার্থীও আক্রান্ত হয়েছেন মারণ ভাইরাসে। হাসপাতালে ভর্তি প্রার্থী প্রদীপ নন্দী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বৃহস্পতিবার রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, “অবশেষে আমিও করনোরা কবলে। দুঃখিত বন্ধুরা।” এই বিজেপি নেত্রী কোভিড উপসর্গ থাকায় দিন কয়েক আগেই পরীক্ষা করান। কিন্তু সেই রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও জ্বর, সর্দি-কাশি কমেনি। এরপরই দ্বিতীয়বারের জন্য পরীক্ষা করান। বৃহস্পতিবার সেই কোভিড রিপোর্ট-ই পজিটিভ আসে।
বৃহস্পতিবার দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যার ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি ভারতে। এই মুহূর্তে দেশ তথা গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর কপালেই ভাঁজ ফেলে দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। এর মাঝেই ভোট-রাজনীতি। মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে ২২ এপ্রিল ভোটের আগেই করোনার হানায় মৃত্যু ঘটে এই প্রার্থীর। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলে বড়সড় ধাক্কা। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারাও। এর ফলে ওখানকার নির্বাচনটা স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুসারে রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬৯, মৃত ২২। কলকাতায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫৫ জন, মৃত ৭। পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি রাজ্য সরকার; শহরে ফের চালু হচ্ছে সেফ হাউস। সেফ হোম খোলা হচ্ছে তপসিয়া, আনন্দপুর, রাজারহাট ও সায়েন্স সিটিতে। চালু হচ্ছে কোয়ারেন্টিন সেন্টার, বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হোটেলকে। আগামীকাল থেকেই কলকাতা পুরসভার ১৪৪ টি ওয়ার্ডেই চালু হবে টিকাকরণ, বলে জানা গিয়েছে।