নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়নগড় ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের সামনে এসে অবাক করা অভিযোগ করলেন তিন কুড়িq বছর পেরিয়ে আসা অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। জানালেন, পঞ্চায়েতের কাছে গিয়ে গিয়ে কোমর পড়ে গেছে তাঁদের কিন্তু বার্ধক্য ভাতা জোটেনি। অথচ ৪০ থেকে ৫০বছর বয়সী শক্ত সবল এবং স্বচ্ছল পরিবারের সদস্যরা দিব্যি বাগিয়ে নিয়েছেন বার্ধক্যভাতা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘোষ বাবু অবশ্য জানিয়েছেন-“ভাতার জন্য অনেকেই আবেদন করেন ।তবে সবাইকে তো দেওয়া সম্ভব নয় ।আবেদনের পর প্রয়োজনীয় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার পর তা দেওয়া হয় ।তবে কিছু জনের নাম আছে টাকা আসেনি। আবার কিছু জনের এসেছে তার পরে হয়তো বন্ধ রয়েছে ।এই সবকিছুই আজকে জানলাম অনেক এসে বললেন ।আমরা সেগুলো খোঁজখবর নিয়ে দেখছি ।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও ব্লক কার্যালয়ে হাজির ব্যক্তিরা কেউ কেউ দাবি করেছেন, বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতা তাঁরা বাম আমল থেকেই পেয়ে আসছিলেন কিন্তু ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তাঁদের ভাতা বাতিল হয়ে যায় অজ্ঞাত কারনে। তাঁরা বুঝতে পারছেননা ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তাঁদের বয়স কমে গেল নাকি মৃত স্বামী ফিরে এসে তাঁরা সধবা হয়ে গেলেন।
অন্যদিকে অবাক করা কান্ড! ষাট বয়সের পর চার চারবার প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি দিয়ে আবেদন করার পরও তাঁরা ভাতা পাননি অথচ সমর্থ্য পরিবারের মানুষেরা শাসকদলের সমর্থক হওয়ার সুবাদে দিব্যি ভাতা বাগিয়ে বসে রয়েছেন, কেউ কেউ আবার ষাট পেরুনোর আগেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
৬৩ বছরের বৃদ্ধ গুণধর দাসের বক্তব্য -“আমরা বহুবার ভাতার জন্য আবেদন করেও পাইনি।বহু ধনী ব্যক্তি হয়তো ভাতা পেয়ে যাচ্ছেন ।আমরা গরীব অসহায় মানুষ তাছাড়া আমাদের বয়স ৬০ এর বেশি ,প্রয়োজনীয় নথি বহুবার দিয়েছি।আজ পর্যন্ত আমাদের ভাতা চালু হয়নি। আমরা আজ বি.ডি.ও সাহেবের কাছে এসেছি এ ব্যাপারে সবকিছু জানালাম ।”
অপর এক বিধবা নারায়ণগড়ের নারমা অঞ্চলের অঞ্জলি মহাপাত্র জানান -“আজ ৩৫ বছর স্বামী মারা গেছেন। সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয় । বিধবা ভাতার জন্য তাই বহুবার আবেদন করেছি ।কিন্তু আজ পর্যন্ত পাইনি ।তাই আজ ব্লক এসে বি.ডি.ও সাহেব কে সরাসরি জানালাম ।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে এই ধরনের বেনিয়ম বা স্বজনপোষন কিংবা কাটমানি নিয়ে প্রকল্প পাইয়ে দেওয়া নতুন কিছু নয়। বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছেন মূখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কুমারও। কিন্তু বিষয়টা যে এখনও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি সেই অভিযোগ মিলল আরও একবার।
নারায়নগড় ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘোষ অবশ্য আশ্বাস দিয়ে বলেছেন ” যারা বার্ধক্য ভাতা পাননি আবার যখন এই ফর্ম দেওয়া হবে, তারা আবার পুনরায় আবেদন করতে পারেন ।তখন সবকিছু দেখে আবার তাদেরও ব্যবস্থা করা হবে ।”