Homeএখন খবর৫০০ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হয়নি মেদিনীপুর শহরের ২যুবক খুনে অভিযুক্তরা! ভোট...

৫০০ দিন পেরিয়ে গেলেও গ্রেপ্তার হয়নি মেদিনীপুর শহরের ২যুবক খুনে অভিযুক্তরা! ভোট বয়কটের ডাক অধিবাসীদের

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৮শে অক্টোবর ২০১৯, কালিপুজোর রাতে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল মেদিনীপুর শহরের ২ যুবককে। ঘটনার ৫০০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার মুখে অথচ গ্রেপ্তার হয়নি ১২জন অভিযুক্ত। তারই প্রতিবাদে শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে নিমতলা চক এলাকায় একটি জমায়েত করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট না দেওয়ায় শপথ নিলেন ওই দুই যুবকের বন্ধু এবং আত্মীয় স্বজনেরা। ওই দুই যুবকের ছবি সজ্জিত করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এমনই শপথ নেন তাঁরা।

উল্লেখ্য ঘটনাটি ঘটেছিল মেদিনীপুর শহরের ধর্মা থেকে গোলকুয়া চক রাস্তার মাঝামাঝি আবগারি কার্যালয়ের সামনে। মেদিনীপুর শহরের হর্ষণদীঘি এলাকার কয়েকজন যুবক ধর্মার মোড়ে একটি ধাবা থেকে খাওয়া দাওয়া করে ফিরছিল বলে জানিয়েছিলেন নিহতদের পরিবার। সেই সময় তাঁদের ঘিরে ধরে বাঁশ,লাঠি, রড ইত্যাদি দিয়ে নির্মমভাবে পেটায় ৫০/৬০ জন মানুষ। ঘটনায় আহতরা দাবি করেছিলেন ১৭জনকে তাঁরা চিনতে পেরেছিলেন এবং পুলিশকে তা জানিয়েও ছিলেন। সেই হিসাবে অভিযোগে ১৭জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ তার মধ্যে ৫জনকে গ্রেপ্তারও করে কিন্তু বাকি ১২জন এখনও অধরা।

সেই অভিযুক্তদের কেন আজ অবধি গ্রেপ্তার করা হলনা এই দাবি তুলেই এই ভোট না দেওয়ার শপথ বলে জানিয়েছেন শপথ নেওয়া এক যুবক রাজীব আহমেদ। আহমেদ জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিমাই রাজু দলিত সম্প্রদায়ের ছিলেন এবং দেবাঞ্জন দাস সাধারণ জাতির। নিমাইয়ের বাবা মারা গেছিলেন রাজ্য পুলিশের হোমগার্ডে কর্মরত অবস্থায়। বিধবা মায়ের একমাত্র সাহারা ২০ বছরের নিমাই নিহত হওয়ার মাত্র তিনদিন পরে চাকরিতে যোগ দিতেন। সেই বিধবা না পেয়েছেন কোনও সরকারি সাহায্য না কোনও বিচার। কোনও রাজনৈতিক দল পাশে এসে দাঁড়ায়নি এই পরিবারগুলির।

আহমেদের প্রশ্ন, গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব কী? মানুষকে বিচার পাইয়ে দেওয়া নয়? তাহলে ৫০০ দিন পের হয়েও যদি সেই বিচার না পাই আমরা তাহলে ভোট কেন দেব আমরা? নিহত নিমাই রাজুর মা সন্ধ্যা জানিয়েছেন, ‘স্বামী চলে যাওয়ার পর একমাত্র সন্তানকেও হারানোর যন্ত্রনা যে মা হারায় সেই মা-ই একমাত্র বোঝে। আর আমার কী চাওয়ার আছে? শুধু চেয়েছিলাম আমার ছেলের খুনিরা ধরা পড়ুক, বিচার হোক। সেই টুকু পাবনা?”

নিহত নিমাই ও দেবাঞ্জনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, নবান্ন, তপশালী জাতি কমিশন সবার কাছে গেছি। সবাই-ই পুলিশকে বলেছেন ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ওই প্রথমেই ৫জনকে গ্রেপ্তার ছাড়া। কেন নেওয়া হয়নি? তাহলে কী এদের পাশে কোনও নেতার হাত রয়েছে? মৃত্যুর পর থেকেই বন্ধুরা প্রশাসনের কাছে যাওয়ার পাশাপাশি প্রতি ১৫দিন অন্তর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তুলে আসছে। সেই ঘটনারই ৫০০দিনের মাথায় শুক্রবার ভোট না দেওয়ার শপথ নিলেন তাঁরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular