Homeজাতীয়উত্তর প্রদেশনেই ওয়ার্ড বয়! দাদুর স্ট্রেচার নিজেই ঠেলছে দুধের শিশু, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে...

নেই ওয়ার্ড বয়! দাদুর স্ট্রেচার নিজেই ঠেলছে দুধের শিশু, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তোলপাড় নেটদুনিয়া

ওয়েব ডেস্ক : রবিবার পড়ে গিয়ে জখম হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার গৌরা গ্রামের বাসিন্দা চেদি যাদব। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে অবশেষে তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভর্তি করতে হয়। এদিকে বাড়িতে কেউ না থাকায় ছ’বছরের সন্তানকে সাথে নিয়েই বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে যান মেয়ে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর পর নার্স কিংবা ওয়ার্ড বয় কেউই রোগীকে ভেতরে নিয়ে যাননি। ফলে বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে স্ট্রেচার ঠেলে দাদুকে ভেতরে নিয়ে যায় ছ-বছরের নাতি। শুধু ভেতরেই নিয়ে গেল এমটা নয়, বরং সেই খুদেই অসুস্থ দাদুর স্ট্রেচার ঠেলে হাসপাতালের এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে গিয়েছে৷ মূহুর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেল সেই ভিডিও।

জানা গিয়েছে, ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার একটি হাসপাতালের। ছোট্ট শিশুটির এমন কান্ড দেখে কেউ একজন সেটি ক্যামেরাবন্দি করেন। তারপর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেন। যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে এমন মর্মান্তিক ঘটনার ছবি মূহুর্তে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছে গোটা দেশ। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে কর্তব্যরত অভিযুক্ত ওয়ার্ড বয়কে।

এদিকে শুধু নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েই ক্ষান্ত থাকেনি। সেই ভিডিও পৌঁছে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দেওরিয়ার জেলাশাসক অমিত কিশোর সোমবার তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সাথে চেদি যাদবের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। এর পরেই সদর এসডিএম ও হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ মেডিক্যাল অফিসারের সমন্বয়ে একটি দল গঠন করে, তদন্তের নির্দেশ দেন। যত দ্রুত সম্ভব এই দলকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

ঘটনায় চেদি যাদবের মেয়ে বিন্দুর অভিযোগ, “বাবাকে এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩০ টাকা করে দাবি করেছিলেন ওই ওয়ার্ড বয়। কিন্তু তা দেওয়ার সামর্থ্য তাঁর নেই। ফলে আমি নিজেই হাসপাতালের যেখানে প্রয়োজন হয়েছে, বাবাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছি। আর তখনই আমার কষ্ট হচ্ছে বুঝতে পেরে ট্রলির অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ঠেলতে শুরু করে আমার ছেলে।” তবে ছোট্ট শিশুর এমন ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular