নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে হোম ডেলিভারির মধ্যমে মদ বিক্রি করা হবে এমন কোনও নির্দেশিকার কথা মানছেনা কলকাতা পুলিশ। বরং এ খবর সত্যি না হলে এ খবর যারা রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার। খবরে বলা হয়েছিল লকডাউনের মধ্যেই কলকাতা-সহ রাজ্যে মদের হোম ডেলিভারি করা হবে। এবং সেটা বুধবার থেকেই। আর সে মদ কিনতে দোকানেও যেতে হবে না ঘরে বসেই পাওয়া যাবে। বুধবার বিকেলে পুলিশের নাম জড়িয়ে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, এই খবর আদৌ সত্যি নয়। মদের দোকান, বার ইত্যাদি খোলা বা হোম ডেলিভারি চালুর ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত আমাদের জানা নেই। এমন খবর রটালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে পুলিশ।
এ দিন ওই খবর নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। বিভিন্ন মাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, পুলিশি ব্যবস্থায় করা হবে হোম ডেলিভারি। সেই খবরে এমনটাও বলা হয় যে, প্রতি দিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত মদের অর্ডার নেওয়া হবে। আর দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মদের হোম ডেলিভারি করা হবে। বাড়ির কাছে কোনও মদের দোকানে অথবা পানশালায় ফোন করে অর্ডার দেওয়া যাবে বলেও খবর প্রকাশ হয় ।
এখানেই শেষ নয়, আরও বলা হয় যে, এই পরিষেবা দেওয়ার জন্যে লাইসেন্স প্রাপ্ত মদ ব্যবসায়ীদের স্থানীয় থানা থেকে অনুমতি দেওয়া হবে। ডেলিভারি করার জন্য তিনটি পাসও দেওয়া হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই খবরে এমনটাও বলা হয় যে, অফ-শপ, অন-শপ, পানশালা, রেস্তরাঁ, হোটেল থেকেও মদের হোম ডেলিভারি হবে। তবে, দোকানে গিয়ে মদ কেনা যাবে না। শুধু হোম ডেলিভারি নেওয়া যাবে।এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক হয় কলকাতা পুলিশ। এদিন বিকেলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানান, এই খবরের কোনও সত্যতা নেই। পাশাপাশি তিনি জানান, এটা আবগারি দফতরের বিষয়। তাঁর কাছে এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই। বিষয়টি নিয়ে এখনও অবধি আবগারি দপ্তরের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।যদিও প্রকাশিত হওয়া খবরটি প্রাথমিক ভাবে ভুল ছিলনা বলেই জানা গিয়েছে।
বুধবার দুপুরেই বিভিন্ন মিডিয়ায় খবরটি প্রকাশিত হয়। এমনটি জানা যায় যে কলকাতা পুলিশের এক জয়েন্ট কমিশনারের জারি করা একটি সার্কুলারের ভিত্তিতেই খবরটি প্রথম জানা যায়। যে সার্কুলার পাঠানো হয় কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের কাছে। যেখানে বলা হয় কলকাতা পুলিশের এলাকায় মদের হোম ডেলিভারি ৮এপ্রিল ৩টা ৫৪মিনিট থেকেই কার্যকরী হবে। একই সার্কুলার চলে যায় সংশ্লিষ্ট থানাগুলির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছেও। ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট’ ও সেরকমই একটি নির্দিষ্ট সূত্র মারফৎ জানতে পেরে খবরটি প্রকাশ করেছিল। ইতিমধ্যেই সেই খবর সম্প্রচারিত হতে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম গুলিতে আর তারপরই বাংলা জুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। আর সেই প্রতিক্রিয়ার জেরেই বুধবারই বিকাল ৫টা ১১মিনিট নাগাদ সার্কুলার তুলে নিয়ে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয় এমনটাই জানা গিয়েছে।