Homeএখন খবরশুধু বলিউড নয় টলিউডেও চলে 'নেপোটিজম', ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

শুধু বলিউড নয় টলিউডেও চলে ‘নেপোটিজম’, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

ওয়েব ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৫ দিন অতিক্রান্ত, নেটিজেনদের মনে দগদগে ঘা এর মত রয়েছে সুশান্তের আত্মহত্যা। সুশান্তের অকাল মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তার অনুরাগীরা। সুশান্তের মৃত্যুর জট এখনও কাটেনি,যদিও বলিউডের স্বজনপোষণেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করছেন বিটাউনের একাংশ। এদিকে,সুশান্তের আত্মহত্যার পরই বলিউডের অন্দরের ‘নেপোটিজম’ নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিন অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে পরিচালক অনেকেই। সকলেই নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে, শুধু যে বলিউডেই স্বজনপোষণ নীতি চলে না কিন্তু হয়, একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও। সুশান্তের আত্মহত্যার ঘটনার পর এবার মুখ খুললেন শ্রীলেখা।

বৃহস্পতিবার নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে লাইভে এসে সুশান্তের ঘটনার কথা আলোচনা করতে গিয়ে নিজের পেশাগত জীবনের বেশকিছু ঘটনা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। তাতেই বেরিয়ে আসে টলিউডেও স্বজনপোষন নীতির মতো একাধিক বিস্ফোরক দাবি। এদিন ভিডিও-র মাধ্যমে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন শ্রীলেখা। এসেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের মতো বেশ কিছু নাম।

শ্রীলেখা বলেন, “মানসিক অবসাদ আছে, থাকবে। এটা নিয়ে আমি বহু বছর ধরে লড়াই করছি এবং করব। আমি আত্মহত্যাপ্রবণ নই। কিন্তু একটা সময় ছিলাম। একটা সময় ব্যক্তিগত ও পেশাগতদিক থেকে একাকীত্ব ঘিরে ধরেছিল। তখন অনেকবার নিজেকে শেষ করার কথা ভেবেছি। তবে যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক আমি থেমে যাইনি বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছি। একদিন দেখলাম বুম্বাদা ফ্লোরে চেয়ারের উপর পা তুলে বসে আছেন। মাটিতে বসে আছেন পরিচালক। ঋতু দেরি করে আসত। আমরা সময়ে এসেও বঞ্চিত। তাছাড়া তখন ঋতুপর্ণা-প্রসেনজিৎ জুটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ছবি হিট হোক আর না হোক ওরাই করবে। তাই আস্তে আস্তে ছবি থেকে সরে গিয়ে টেলিভিশনকেই বেছে নিয়েছিলাম। এমনকি বুম্বাদা আমার সঙ্গে ‘অন্নদাতা’ ছবিটাও করতে চাননি। অশোক ধানুকা সবটা ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আমাকে ফোন করে একথা জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে প্রসেনজিতকে আমি এড়িয়ে যাওয়ায় প্রযোজকই ফোন করে বলেছিলেন আমি ছবিটা করছি। অন্নদাতা সফল হয়েছিল। কিন্তু বুম্বাদার সঙ্গে আমি আর কোনও ছবি করিনি। কারণ ওই ছবিতেই অতিথি চরিত্রে ছিল অর্পিতা এবং ততদিনে প্রসেনজিৎ-অর্পিতার প্রেম শুরু হয়ে গিয়েছে। আমি কোনদিনই ইন্ডাস্ট্রিতে জুটি তৈরি করতে পারিনি। কারণ কোনও নায়ক ছিল না। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা, জিৎ-স্বস্তিকা, স্বস্তিকা-পরমব্রত, প্রসেনজিৎ-অর্পিতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া সৃজিত আমার অনেক পুরনো বন্ধু। কিন্তু প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর আমাকে কোনও ছবিতে নেয়নি। এমনকী কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ছবির কথা বললেও তিনি আমায় উত্তর দিয়েছিলেন, চূর্ণী কোথাও কাজ পায় না, তাই তাঁর ছবিতে ওকে নিতেই হবে। যেহেতু ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও গডফাদার নেই। আর তাবেদারি না করতে পারার মাশুল দিতে হয়েছে আমাকে। আমি এও জানি আজ এই ভিডিওটি পোস্ট করার পর আমায় দ্বিগুণ রোষের মুখে পড়তে হবে কিন্তু তাতে আমি আমল দিইনা। নেপোটিজম প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রিতেই আছে এবং থাকবে।”

শ্রীলেখার এদিনের একঘন্টার ভিডিওতে তার দীর্ঘ কয়েক বছরের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন নেটিজেনদের সামনে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে নানা মহলে। তবে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের ভিডিওটি দেখার পর একটা কথা স্পষ্ট হওয়া গেল যে ‘নেপোটিজম’ প্রত্যেক ইন্ডাস্ট্রিতেই থাকে আর এর জেরেই বহু প্রতিভা ধীরে ধীরে চির অন্ধকারে হারিয়ে যান।

RELATED ARTICLES

Most Popular