নিজস্ব সংবাদদাতা: গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জীর্ণ পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়ে তৃনমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ এক যুবকের। সৌভিক দোলাই নামে নিহত ওই যুবক তৃনমূলের এক নিষ্ঠ কর্মী ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পেছনে দলীয় গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করেছেন তৃনমূলেরই একটি অংশ । ঘটনাটি নারায়ণগড়ে মকরামপুর বাজারের অনতি দূরেই অভিরামপুরে। বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের উত্তাল হয়ে উঠে এলাকা।চলে বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনা। অভিযোগ এতেই গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূলকর্মী। পরে মৃত্যু হয় তার।মৃতের নাম সৌভিক দোলাই(২৬)। মৃত সৌভিক তৃনমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
অন্যদিকে বোমার আঘাতে জখম হন আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী সমর্থক।তাদেরকে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসার পরই মৃত্যু হয় সৌভিকের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নারায়নগড় থানার মকরামপুর অঞ্চলের দায়িত্বে সদ্য পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে মকরামপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লক্ষ্মী শিটকে । এই বিস্ফোরনে মৃত্যু হয়েছিল ৩ দলীয় কর্মীর। তখন লক্ষ্মী শিটের সঙ্গে পার্টি দূরত্ব বজায় রাখার নীতি নেয়। দায়িত্বে আসেন নাকফুড়ি মুর্মু নামে স্থানীয় এক নেতা। দায়িত্বে এসেই লক্ষ্মী শিটকে ব্যপক মারধর করার অভিযোগ ওঠে নাক ফুঁড়ির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হাত পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় লক্ষী সিটের। আপাতত লক্ষী পর্বের অবসান হয়।
এরপর লক্ষী ও তার অনুগামীরা বিজেপির আশ্রয়ে চলে যায়। যদিও লক্ষী নিজে চুপচাপ থাকেন। এরপর নাক ফুঁড়ির অনুগামীরা লক্ষীর আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। জানা যায় নাকফুঁড়ি বাহিনীর অত্যাচারে পার্টির বদনাম হচ্ছে এই ভাবনা থেকেই তাকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দায়িত্বে ফের আসে লক্ষী সিট।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে নাকফুড়ি মুর্মু ও তাঁর অনুগামীরা। দুদলের অনুগামীদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। মঙ্গলবার মকরামপুর দলীয় কার্যালয়ের কিছুটা দূরেই লক্ষী সিটের অনুগামীরা যখন বসে নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন তখনই এই হামলা চালানো হয়েছে বলে আহতরা অভিযোগ করেছেন। আহতরা জানিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কর্মী সমর্থক।
নারায়নগড় ব্লকের তৃনমূল সভাপতি মিহির চন্দ এই ঘটনার পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে । যদিও বিজেপি দাবি করেছে ঘটনার পেছনে তৃনমূলেরই দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। এরপর মিথ্যে গল্প বানিয়ে বিজেপিকে ফাঁসাতে চাইছে। নারায়নগড়ে মিহির চন্দ বনাম সূর্যকান্ত অট্ট গোষ্ঠীর বিরোধের ফল এটি। এখনও অবধি কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।