নিজস্ব সংবাদদাতা: ৪৮ ঘন্টা আগে দুই বিজেপি নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেই শাসকদলের বিরুদ্ধে বুক বাজিয়ে থানা ঘেরাও করে দেখাল বিজেপি। মাত্র ৪৮ ঘন্টার ব্যবধানে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড়ে যে জমায়েত এবং সেই জমায়েতের জঙ্গিপনা মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে শনিবার তাতে শাসকদলের কপালে রীতিমত ভাঁজ পড়েছে।
এই জমায়েত ফের প্রমান করে দিয়েছে যে লোকসভা ভোটের সময় শাসকের যে রক্তক্ষরন লক্ষ্য করা গেছিল তাতে বিন্দুমাত্র মেরামতি হয়নি। আর সে কারনেই বৃহস্পতিবার যে বিজেপি নেতাদের পিঠে লাঠির দগদগে দাগ প্রত্যক্ষ করা গিয়েছিল সেই দাগ শনিবার মুছে দিয়েছেন বিজেপির কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক।
নারায়নগড় বিজেপির উত্তর মন্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ দে জানিয়েছেন,’ মানুষ যেভাবে আজ থানা ঘেরাওতে কাতারে কাতারে সামিল হয়েছেন, তাতে সব যন্ত্রনা ধুয়ে মুছে গেছে। ওরা আমাদের পিঠের চামড়া তুলে নিতে চেয়েছিল, মানুষ ওদের বুক দেখিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলের পতনের শুরু হয়ে গেল। আজ নারায়নগড় থানা ঘেরাও করে মানুষ তৃণমূলের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন।”
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার নারায়নগড় থানা এলাকার মকরামপুরে দলের সদস্য সংগ্ৰহ অভিযান শেষ করে ফেরার পথে বিজেপি উত্তর মন্ডলের সভাপতি সত্যজিৎ দে ও সাধারন সম্পাদক গিরিজা প্রসাদ দে কে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় কিছু দুষ্কৃতি। বিজেপির অভিযোগ এরা তৃণমূলেরই লোক ছিল। বিজেপির অভিযোগ পুলিশকে বারংবার জানানো স্বত্ত্বেও পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেনি এমনকি অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শনিবার বিকেলে তারই প্রতিবাদে নারায়ণগড় থানা ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপি কর্মীরা।
বাস্তবিকই এই থানা ঘেরাও কে কেন্দ্র করে ব্যাপক জমায়েত করতে সক্ষম হয় বিজেপি। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, জেলা সভাপতি সমিত কুমার দাস সহ জেলার একাধিক নেতৃত্বে এই জমায়েত সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। পুলিশের তৈরি করা বিশাল মাপের ব্যারিকেড ভেঙেই জনতা থানার দিকেই রওনা হবার চেষ্টা করে। বিশাল জনতার চাপে ওই ব্যারিকেড খড়কুটোর মত উড়ে যেত যদি না জেলা সভাপতি সমিত দাস উত্তেজিত, ক্রুদ্ধ জনতাকে সামাল না দিতেন।
সমিত দাসের নেতৃত্বে এদিন নারায়নগড়ের সমস্ত মন্ডল সভাপতি থানায় গিয়ে অভিযোগ পত্র জমা দিয়ে দাবি জানিয়েছেন ২৪ঘন্টার মধ্যে ওই দুস্কৃতিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নচেৎ আরও বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। অন্যদিকে সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, পুলিশ যদি অপরাধীদের উপযুক্ত সাজা না দেয় তবে আমাদের কর্মীরাই তা দেবেন।