Homeরাজ্যদক্ষিণবঙ্গঅভিনব পোস্টারে মুখ ঢেকেছে নন্দী গ্রামের দেওয়াল, "চোর তৃণমূল কে সাসপেন্ড করেছে...

অভিনব পোস্টারে মুখ ঢেকেছে নন্দী গ্রামের দেওয়াল, “চোর তৃণমূল কে সাসপেন্ড করেছে ডাকাত মেঘনাদ”

বিশেষ সংবাদদাতা : যদি পোস্টার লেখার প্রতিযোগিতা হয় তবে বিষয় বস্তুর অভিনবত্বে এই পোস্টারকে প্রথম পুরস্কার দিতেই হবে। খোদ পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড় তথা বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দীগ্রামের অলিতে গলিতে, দেওয়ালে দেওয়ালে এই পোস্টার ছেয়ে গেছে যেখানে বলা হয়েছে, “চোর তৃণমূল কে সাসপেন্ড করেছে ডাকাত মেঘনাদ পাল !”

আমফান ঝড়ে যেমন নন্দী গ্রামের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে তেমনই আমফান ক্ষতিপূরণের টাকা হাপিস করে তৃণমূল নেতারা দলের পুরোপুরি ধ্বস নামিয়ে দিয়েছেন। আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ হয়েছে ত্রাণের টাকা চুরির অভিযোগে। এরপর হাতে কলমে ধরা পড়ে গিয়ে ইমেজ ফেরাতে প্রায় ২০০জন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, কর্মীদের শোকজ এবং ২৫জনকে সাসপেন্ড করে নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নন্দীগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির ব্লক সভাপতি তথা বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান মেঘনাদ পাল।

এবার সেই চোর খেদানো মেঘনাদ কে “ডাকাত”, উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল নন্দীগ্রামে! মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের অলিতে গলিতে মেঘনাদ পালের নামে পোস্টার উদ্ধার হয়। যে পোস্টার গুলিতে লেখা আছে, ” চোর তৃণমূলকে সাসপেন্ড করেছে ডাকাত মেঘনাদ পাল” । যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে নন্দীগ্রাম ব্লক জুড়ে৷

এদিকে ডাকাত সম্বোধন করে যার নামে এই পোষ্টার পড়েছে সেই মেঘনাদ পাল এই পোষ্টার সাঁটানোর পিছনে বিজেপির হাত দেখছেন। তিনি জানান, ”আম্ফানের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। আমার বিরুদ্ধে বিজেপির সেই একমাসের মধ্যে বিজেপির সাহস হয়নি আমার বিরুদ্ধে কিছু বলার। এতোদিন পর হঠাৎ তাদের মনে হলো এবার মেঘনাদের চরিত্রে কালি ছেটাতে হবে সেই কারনেই রাতের অন্ধকারে কাপুরুষের মতো আমার নামে মিথ্যা পোষ্টার সাঁটিয়েছে৷ এতে আমার বা দলের কোনও ক্ষতি হবে না।”

যদিও এই পোষ্টার সাঁটানোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তথা নন্দীগ্রামের বাসিন্দা প্রলয় পাল জানান ,” এটা ডাকাত তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোর তৃণমূলের পোস্টার। এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও এই ধরনের পোষ্টার পড়েছিল। তার দলের কর্মীরা যে চোর এবং চুরি করেছে তা মেঘনাদ পাল নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন অনেক আগেই। চুরির কারনে তিনি দলের বহুজনকে সাসপেন্ড করেছেন। শিশির অধিকারী বলেছেন, ওই চোরেদের আর দলে রাখা হবে না। সুতরাং বিজেপি এইসব করতে যাবে কেন? বিজেপি ২১ সালে ক্ষমতায় আসছে। এখন তৃণমূলকে চোর-ডাকাত বলছে তৃণমূলের লোকজন। আমরা কারও বিরুদ্ধে কিছু বললে প্রকাশ্যে বলি, রাতের অন্ধকারে পোস্টার মেরে কী লাভ? তৃণমূল তো কিছুদিন পরে নিজেই পোস্টার হয়ে যাবে!”

চোর আর ডাকাতের এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে অবশ্য নিষ্পৃহ নন্দী গ্রাম। জমি আন্দোলনে তাঁদের কী জয় হয়েছে এখনও তারা হিসাব করেই চলেছেন মাঝখান থেকে বড় বড় বাড়ির মালিক হয়ে বসে আছেন ছোট বড় মাঝারি নেতারা। মানুষের প্রশ্ন, চুরি করার পর যদি টাকা ফেরত দিলেই দোষ মাফ হয়ে যায় তবে শুধু শুধু চোরদের জেলে রাখে কেন সরকার। মূল্য ফেরৎ নিয়ে ছেড়ে দিলেই তো পারে!

RELATED ARTICLES

Most Popular