ওয়েব ডেস্ক : বৃহস্পতিবার গেরিলা কায়দায় নবান্ন অভিযানের কথা আগেই ঘোষণা করেছিল বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। জানা গিয়েছে দুর্নীতি, টেট, কর্মসংস্থান সহ সাতটি বিষয়ের দাবিতে এদিন নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তারওপর আবার এই নবান্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সুপ্রিমো তেজস্বী সূর্য।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাঁর নেতৃত্বে হাওড়া থেকে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাবেন গেরুয়া বাহিনী। কিন্তু এদিকে যখন প্রায় ২ লক্ষ কর্মী নিয়ে নবান্ন-র দিকে অগ্রসর হওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে বিজেপি, এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার বিজেপি নবান্ন অভিযানের দিন নবান্নে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নবান্নের ১৪ তলা বিল্ডিং জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলবে একারণে এই দু’দিন দফতরে ঢুকতে পারবেন না কোনও আমলা, আধিকারিক বা কর্মী। তাই আগামী দু’দিন নবান্ন কর্মীদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। তবে আচমকা শনিবার ও রবিবারের বদলে বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিনেই নবান্ন বন্ধ রাখায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন।
এদিকে বৃহস্পতিবারের নবান্ন অভিযান নিয়ে তেজস্বী সূর্য বলেন, “বাংলার যুবক–যুবতীরা বড় সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসন। এটাই উপযুক্ত সময় বাংলার ঐতিহ্যকে পুনঃরুদ্ধার করার। বাংলা পরিবর্তন চাইছে। আর বিজেপি হল যুবদের সেই কন্ঠস্বর।”
তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে প্রতিবাদ মিছিল থেকে নবান্ন ঘেরাও করা হবে? এবিষয়ে গেরুয়া শিবিরের তরফে জানা গিয়েছে, এদিন হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে অভিযান শুরু হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে নেতা কর্মীরা হাওড়ায় এসে জমায়েত হবেন।
সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগোবেন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি, সায়ন্তন বসু, জ্যোতির্ময় মাহাতো–সহ আরও অনেকে। এদিকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র নেতৃত্বে হেস্টিংস থেকে আরেকটি মিছিল বেরোবেন। এরপর এই বিরাট মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগোবেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।