নিজস্ব সংবাদদাতা: বাধা মানছেনা করোনা, IIT খড়গপুরের নিরাপত্তার বেড়া জাল টপকেই ফের করোনা হানা দিল ক্যাম্পাসে। এবার আক্রান্ত হলেন ৩ পড়ুয়া সমেত অন্তত ৬জন। অন্তত, এই কারনেই যে খড়গপুর মহকুমা স্বাস্থ দপ্তর সূত্রে ৭ জনের সংক্রমনের কথা বলা হলেও IIT র সূত্র ৬ জনের করোনা সংক্রমন নিশ্চিত করেছে।
IIT সূত্র অনুযায়ী বুধবার ২০জনের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হয় IIT বি.সি.রায় হাসপাতালে। যার মধ্যে ৬জনের করোনা আক্রান্তের প্রমান মেলে। এই ছ’জনের মধ্যে ৩ পড়ুয়া ছাড়াও একজন মহিলা হাসপাতাল কর্মী, একজন নিরাপত্তারক্ষী ও একজন আ্যম্বুলেন্স সহায়ক রয়েছেন। রাতেই ২পড়ুয়াকে খড়গপুর মহকুমার সদ্য চালু হওয়া সেফ হোমে স্থানান্তরিত করা হয়, অন্যদিকে আরেক পড়ুয়া পরীক্ষার ফল আসার আগেই হোস্টেল ছেড়ে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারি ভাবে IIT খড়গপুর তরফে এখনও এই খবরের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়নি। যদিও খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী জানিয়েছেন, “জেলায় নমুনা পরীক্ষা বন্ধ থাকা আছে। IIT নিজস্ব হাসপাতালে সম্ভাব্যদের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করায় যার মধ্যে ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলেই জানি। ২জনকে আমাদের সেফ হোমে আনা হয়েছে।”
উল্লেখ্য আইআইটি সূত্র ধরে নিলে এই নিয়ে IIT খড়গপুরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০ জন। এর আগে প্রথমে ১পড়ুয়া ও তার সূত্র ধরে আরও ২পড়ুয়া ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ২৩তারিখ শেষ সংক্রমনের ঘটনা ঘটেছিল এবং তারপরই ২৬ তারিখ অর্থাৎ বুধবার এই আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় IIT কর্তৃপক্ষ। সম্যসা এটাই যে এতদিন সংক্রমন হোস্টেল এলাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল যা কিনা ক্রমশ কর্মচারী ও অধ্যাপক আবাসনের দিকে ছড়িয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সমস্যা আরও যে, এখন নাছোড়বান্দা কিছু ছাত্রকে হোস্টেল মুক্ত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। শেষবার ২৩ আগস্টের মধ্যে হোস্টেল খালি করতে অনুরোধ করার পর বাড়ি ফেরার টিকিট মিলছেনা ইত্যাদি নানা কারন দেখিয়ে বেশ কিছু ছাত্র হোস্টেলে থেকে গিয়েছে। এদিকে পরপর বাড়তে থাকা এই সংক্রমনের ঘটনা উদ্বিগ্ন IIT কর্তৃপক্ষ।
এতদিন ব্যাপক নিরাপত্তা গড়ে বহিরাগতদের পরীক্ষা করে নিঃসন্দেহ হওয়ার পরই ক্যাম্পাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা আবাসিকদেরও কঠোর নিয়ম পালন করতে হচ্ছে। গত ৪ মাস এই কঠিন নিরাপত্তা বলয়ে IIT ক্যাম্পাসকে রেখে করোনা ঠেকিয়েও রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এবার ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরেই তা ছড়িয়ে পড়ায় কী ভাবে এর মোকাবিলা করা হবে তাই নিয়ে নিরন্তর আলোচনা চলছে বলেই জানা গেছে।