নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর মধ্যেও বাদ গেলনা দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক দলাদলি। চলল পারস্পরিক দোষারোপ ও অবরোধ, বিক্ষোভ। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর থানা এলাকায়। জানা গেছে মোহনপুর থানার শিয়ালসাঁই গ্রামের বাচ্চু বেরা নবমীর দিন প্রতিমা দর্শনে গিয়ে বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোকেরা অনেক খোঁজ করেও সন্ধান পাননি তাঁর। এরপর তাঁর দেহ পাওয়া যায় গ্রামের অদূরে একটি গাছে, ঝুলন্ত অবস্থায়।
এই দেহ পাওয়া যাওয়ার পরই তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় গ্রামে। বাচ্চু বিজেপি সমর্থক ছিলেন। বিজেপির কর্মী সমর্থকরা দাবি করেন বাচ্চুকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনীই। এই তীব্র চাঞ্চল্যের মধ্যেই মোহনপুর পুলিশ বাচ্চুর দেহ উদ্ধার করতে গেলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি সমর্থকরা। তাঁরা পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা দেয়।
তাঁরা দাবি করেন বাচ্চুর দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিশেষ করে তাঁর নিম্নাঙ্গ রক্তাক্ত ছিল। বিজেপি সমর্থকদের আরও দাবি পুলিশের সাহায্য নিয়েই এই খুন হয়েছে এবং পুলিশ সরাসরি জড়িত এই খুনের সঙ্গে।বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস সরাসরি অভিযোগ করেন, ” মোহনপুরের ইন্সপেক্টর ইনচার্জ এই খুনের সঙ্গে জড়িত এবং তাঁর সহযোগিতা নিয়েই তৃণমূল দুষ্কৃতীরা এই খুন করে তৃণমূলের পরিচিত স্টাইলেই ঝুলিয়ে দিয়েছে। সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই এই একই কায়দায় খুন করা হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। সোমবার সকাল থেকেই বালেশ্বর-রানীগঞ্জ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা।
কিছুক্ষনের জন্য স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে আলোচনা করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের আশ্বাস দিয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করায়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, রাজনৈতিক ভাবে হালে পানি না পেয়ে মৃত্যু নিয়ে দুর্ভাগ্য জনক রাজনীতি শুরু করেছে।