নিজস্ব সংবাদদাতা: সেই আমফান ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে পিসি-ভাইপো (মমতা-অভিষেক)কে তীব্র আক্রমন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার কাঁথি রেলস্টেশন সংলগ্ন মাঠে নজরকাড়া ভিড়ে সভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী মাথায় রেখেছিলেন উপকূলীয় এলাকায় বক্তৃতা করছেন তিনি। বারবার তাই তাঁর কথায় গুরুত্ব পেয়েছে উপকূলীয় মানুষদের কথাই। আর যে কারনে তুলে এনেছেন আমফান বিধ্বস্ত উপকূলের যন্ত্রনা এবং ক্ষতিপূরনের প্রশ্নে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা।
আমফানের সময় কাঁথি, ভগবানপুর, খেজুরি, নন্দীগ্রাম ইত্যাদি উপকূলীয় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন ক্ষতিপূরণ নিয়ে। ওই সময় দেখা যায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা টাকা পাননি অথচ কোনও ক্ষতি না হওয়া স্বত্ত্বেও ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকে গেছে তৃনমূলের নেতা, পঞ্চায়েত, প্রধান এমনকি তাঁদের আত্মীয় স্বজনের ব্যাংকে। সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী কটাক্ষ করে বলেছেন ,”দিদি আজকালে মেদিনীপুরে এসে নানা রকম অজুহাত তৈরি করছে। যাঁদের আগে আমফান বিধ্বস্ত করেছে, তারপর তৃণমূল লুটে নিয়েছে তাঁদের জবাব দিতে না পেরে বাহানা বানাচ্ছেন দিদি। কেন্দ্র সরকার আমফানের যে টাকা পাঠিয়েছে সে টাকা ভাইপো উইনডোতে ফেঁসে গিয়েছে।” দুর্নীতি ইস্যুতে আরও একবার রাজ্যের শাসক শিবিরকে বিঁধে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, “আমফানের ত্রাণ কে লুটেছে? গরিবের চাল কে লুটেছে? আমফানে বিধ্বস্তরা আজ ভাঙা ছাদের তলায় কেন?
প্রধানমন্ত্রী এদিন পেটুয়াঘাটের বন্দর থেকে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল অবধি উপকূলে কেন্দ্র সরকার নানা প্রকল্পে টাকা বিনিয়োগ করছে জানিয়ে বলেন, এরই পাশাপাশি উপকূলীয় মানুষদের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প নিয়েছে কেন্দ্র সরকার যার সুবিধা পাবেন এখানকার মানুষেরা আর সেই জন্য দরকার ডবল ইঞ্জিন সরকার। তিনি ঘোষণার ভঙ্গিতে বলেন, “মোদি আরও একবার ঘোষণা করে দিলেন,”২ মে দিদি যাচ্ছে, আসল পরিবর্তন আসছে।” নিজের পুরনো প্রতিশ্রুতি আরও একবার মনে করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলার কৃষকরা ভুলতে পারবে না কীভাবে কৃষকদের সঙ্গে নির্মমতা দেখিয়েছে তৃণমূল সরকার। এই টাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছাতে দিল না। দিল্লি সরকার টাকা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু দিদি কৃষকদের সঙ্গে শত্রুতা করেছে। লিখে রাখুন, ২ মে বাংলার উন্নয়নের রাস্তার সব বাধা ভেঙে যাবে। সরকার গঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ৩ বছরের যে টাকা দিদি কৃষকদের দেয়নি, সেই টাকা আপনাদের দেব।”
রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে সরকার’কে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরকারে দিদির দেখা পাওয়া যায় না, আর ভোটের আগে দুয়ারে সরকার! এটাই এদের খেলা। বাচ্চারাও এই খেলা ধরে ফেলেছে। ২ মে বাংলার মানুষ দিদিকে দুয়ার দেখাবে। বাংলার লোকেরা আপনাকে দরজা দেখাবে। তৃণমূলের পাপের ঘড়া পূর্ণ। মা-বোনেরা তৃণমূলকে শাস্তি দিতে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। দিদি আপনি তো শোনেন না। দেখতে পারলে দেখে নিন। বাংলা চায় শিক্ষা, শিল্প, কর্মসংস্থান, নারী সুরক্ষা, কৃষক সম্মান, কর্মচারী সম্মান। বাংলা চায়, বিজেপি সরকার।” এরপরই কর্মীদের নতুন স্লোগান বেঁধে দেন,’বাংলার দরকার- বিজেপি সরকার।’